বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি থেকে ১৬৮ জন যাত্রী নিয়ে ইন্ডিগোর একটি বিমান রওনা দিয়েছিল। সেটি বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বেঙ্গালুরুতে নিরাপদে অবতরণের আগে পাইলট মে দিবসের সতর্কতা জারি করেন। আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ভেঙে গিয়ে ২৪১ জন যাত্রী ও ক্রুসহ কমপক্ষে ২৭০ জন নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর এই ঘটনা ঘটল।
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের তরফে অবশ্য এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। চেন্নাই বিমানবন্দরে অন্যান্য বিমান থাকার জেরে সেখানে নামানো যায়নি। বিমানটি সময়মতো অবতরণ করতে পারেনি। সেকারণে জরুরী অবতরণ করতে হয় অন্য় বিমানবন্দরে। ১৯ জুন রাত ৮টা ১৫ মিনিটে বিমানটি বেঙ্গালুরুতে অবতরণ করে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিমানের দুই পাইলটকেই ডি-রোস্টার করা হয়েছে।
সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ বিমানের পাইলট চেন্নাই বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করেন, কিন্তু অবতরণের চেষ্টা ব্যর্থ করে বেঙ্গালুরুর দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে অবতরণের প্রায় ৩৫ মিনিট আগে পাইলট অপর্যাপ্ত জ্বালানির কারণে বিপদের সংকেত দেন।
সূত্রের কথা উল্লেখ করে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিসট্রেস কল পাওয়ার পর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, দমকল ও চিকিৎসা পরিষেবা মোতায়েন করা হয় এবং রাত সোয়া ৮টা নাগাদ বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে। এক যাত্রী জানিয়েছেন, বিমানটি চেন্নাইয়ে অবতরণের চেষ্টা করার পর আচমকা সোজা চলে যায়। শুক্রবার মাদুরাইগামী ইন্ডিগোর আরও একটি বিমান মাঝ আকাশে বিঘ্ন কাটিয়ে চেন্নাই ফিরে আসে। প্রায় আধ ঘণ্টা উড়ে যাওয়ার পর ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের বিমানের পাইলট বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং চেন্নাই ফিরে অবতরণের অনুমতি চান। প্রায় ৬৮ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছিল।