চলছে পবিত্র রমজান মাস। আর এই আবহে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইজরায়েল বনাম হামাসের মধ্যে যুদ্ধে তপ্ত গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কিত আলোচনা নিয়ে ঝড় ওঠে। ইতিমধ্যেই এই যুদ্ধের ৫ মাস কেটে গিয়েছে। এরপরই সোমবার, গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো করে শেষ ৫ মাসের যুদ্ধের মধ্যে প্রথমবার সরব হল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এই দাবি ঘিরে পাশ হয়েছে প্রস্তাব। তবে এই গোটা পর্বের মধ্যে নয়া টুইস্ট এনেছে কৌশলী আমেরিকা।
ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধের ৫ মাস কেটে যাওয়ার পর প্রথমবার গাজায় সংঘর্ষ বিরতির দাবি তুলেছে জাতিসংগের নিরাপত্তা পরিষদ। এক্ষেত্রে, আমেরিকা তার ভেটো নিয়ে নীতি পরিবর্তন করে। আর আমেরিকা নিজের অবস্থান এই ইস্যুতে আগের থেকে পরিবর্তন করে ভোটো দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরই গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ হয়ে যায় নিরাপত্তা পরিষদে। ঘটনার পর ইজরায়েল যে আমেরিকার এই নীতিকে খুব একটা পছন্দ করছে , তা নয়। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে ইজরায়েল। ঘটনার পরই ইজরায়েল বলছে, ‘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ জাতিসংঘে তার নীতি পরিত্যাগ করেছে।’ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বক্তব্যে কার্যত আমেরিকার দিকে তোপ দেগে বলছেন, ‘ মাত্র কয়েকদিন আগে, এটি (মার্কিন) নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিল যা ইজরায়েলিদের মুক্তির সাথে যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে যুক্ত করেছিল৷ চিন এবং রাশিয়া সেই প্রস্তাবটিকে আংশিকভাবে ভেটো করেছিল কারণ তারা ইজরেয়েলিদের মুক্তির সাথে যুক্ত একটি যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করেছিল।’ এরপরই আমেরিকাকে নিয়ে তুলোধনার সুরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন রেজোলিউশনে ভেটো দেয়নি, যা একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যা ইজরায়েলিদের মুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ প্রসঙ্গত, ইজরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে পাল্টা হামাসকে টার্গেট করে গাজায় যুদ্ধে নামে ইজরায়েল। এদিকে, হামাসের হাতে ইজরায়েলি পণবন্দিদের বেশ কিছুজন মুক্তি পেলেও বাকি অনেকেই মুক্তির অপেক্ষায়। এর আগে অক্টোবরের প্রথমে হামাসের হানায় শতাধিকজনের অপহরণ হয়। সেই ইজরায়েলিদের মুক্তির দাবিতে সরব নেতানিয়াহুরা।
এদিকে অপহৃতদের মুক্তির দাবি ঘিরে সরব ইজরায়েল। সেদেশের সেনা প্রবেশ করেছে গাজায়। অন্যদিকে, অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। তবে, এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার বর্তমান অবস্থান বাইডেন- নেতানিয়াগুদের পুরনো সখ্য়তাকে ধরে রাখতে পারবে, কি না, তা নিয়ে রয়েছে বহু প্রশ্ন।