উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার নওগাঁও শহরে গত ৫০ বছর ধরে রামলীলা উৎসবের মূল দায়িত্বটা পালন করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। ফান্ড জোগাড় করা থেকে মঞ্চ বাঁধা সবটাই করেন তাঁরা। সেই ১৯৭৩ সাল থেকে সম্প্রীতির এই ছবির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে এই শহরের মানুষ । ধর্মীয় ভেদাভেদকে দূরে রেখে প্রতিবছর রামকে সামনে রেখে সম্প্রীতির মালা গাঁথেন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ।
আহসান আখতার নামে এক বাসিন্দা প্রথম এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। এরপর তার ধারাবাহিকতা রক্ষিত হয় আজও। প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। পরে গুলাম আব্বাস কিট্টি এই দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন।
তবে বর্তমানে কমিটির সভাপতি শৈবাল হালদার। তিনি সভাপতি হওয়ার পরেও সম্প্রীতির সেই ছবি রয়েছে এখনও। বর্তমানে রাম সেজে অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রামায়ণ সিরিয়ালটিও দেখানো হয়।
এই রামলীলা দেখতে এলাকার মানুষের উৎসাহ একেবারে তুঙ্গে। এদিকে আগে রাস্তার ধারেই রামলীলার অনুষ্ঠান হত। তবে বর্তমানে যানজটের জেরে সেই জায়গাটি বদল করা হচ্ছে। আপাতত অনুষ্ঠানের জন্য় পাঁচ বিঘা জমি কেনার চেষ্টা হচ্ছে।তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুই সম্প্রদায়ের এক হয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজনের কাজে কিছুটা হলেও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেবলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুসলিমদেরও এই অনুষ্ঠানে তিলক পরতে দেখা যায়। শৈবাল হালদার বলেন, গঙ্গা যমুনা তেহজিব এখানে রয়েছে। আমাদের রক্তেও রয়েছে সেই ঐতিহ্য।
এই শহরে অন্তত ৮০ শতাংশ মুসলিমের বাস। বাকিরা হিন্দু। তবুও এক অদ্ভূত সম্প্রীতি গোটা এলাকায়।