'ভারত জোড়া যাত্রা'-র সময় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি মেনে চলতে হবে। নাহলে বন্ধ করে দিতে হবে 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে এমনই কড়া ভাষায় চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া।
মঙ্গলবার ওয়াইনাডের কংগ্রেস সাংসদকে লেখা একটি চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত জোড়ো যাত্রার সময় কঠোরভাবে কোভিড বিধি পালন করতে হবে। যা আপাতত রাজস্থানে চলছে (মঙ্গলবারই রাজস্থানে শেষদিন ছিল, তারপর হরিয়ানায় প্রবেশ করছে)। (ভারত জোড়ো যাত্রার সময়) মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। যাঁরা (করোনা) টিকা নিয়েছেন, শুধুমাত্র তাঁরাই (ভারত জোড়ো যাত্রায়) অংশগ্রহণ করতে পারবেন।’
সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, যদি করোনা বিধি পালন না করা হয়, তাহলে 'ভারত জোড়ো যাত্রা' পিছিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, 'যদি কোভিড বিধি পালন করা সম্ভব না হয়, তাহলে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি জাতীয় স্বার্থে ভারত জোড়ো যাত্রা পিছিয়ে দেওয়া হোক।'
আরও পড়ুন: Covid-19 in 2023: আগামী বছর কোভিড আবার সমস্যায় ফেলবে! এ বছরের কোন ভুলের কথা বলছেন বিজ্ঞানী
যদিও কংগ্রেসের দাবি, এখন তো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা হচ্ছে। সেখানে কোনও সমস্যা হচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা বহরমপুুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, 'আমি বিজেপির থেকে জানতে চাই যে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি কোভিড বিধি পালন করেছিলেন? আমার মনে হয়, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা পছন্দ হয়নি মনসুখ মাণ্ডবিয়ার। কিন্তু মানুষের ওই যাত্রা পছন্দ হয়েছে এবং তাতে যোগ দিচ্ছেন। মানুষের নজর ঘোরানোর কাজে মাণ্ডবিয়াকে নিযুক্ত করা হয়েছে।'
একইসুরে কংগ্রেস নেতা কার্তি চিদম্বরম (প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ছেলে) বলেন, ‘আমি ওই চিঠি দেখিনি। কিন্তু বর্তমানে (দেশে) কী কী করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি মেনে চলা হচ্ছে? অন্যান্য জমায়েতে তো কোনও করোনা বিধি নেই। যদি বিজেপি ভয় না পেয়ে যায়, তাহলে ভারত জোড়ো যাত্রার দিকে আচমকা নজর পড়ল কেন?’ (আরও পড়ুন: Covid-19 Surge: চিনে আবার বাড়ছে কোভিড, জিনোম পরীক্ষা করানোয় রাজ্যদের জোর দিতে বলছে কেন্দ্র)
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনে মারাত্মক আকার ধারণ করছে করোনা। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, ২০২৩ সালেই করোনায় শুধুমাত্র চিনে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গবেষক জেমস উড বলেন, ‘আমাদের মনে কোনও সন্দেহ নেই যে আগামী কয়েক মাস চিনের জন্য খুবই কঠিন হতে চলেছে।’