বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Air Force Fighter: ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার জাগুয়ার যুদ্ধবিমান! দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১ পাইলটের
পরবর্তী খবর
গুজরাটের জামনগরে ভারতীয় বায়ুসেনার জাগুয়ার যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাইলটের। বুধবার রাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, জাগুয়ার যুদ্ধবিমান ভেঙে বিমান বাহিনীর একজন পাইলট মারা গিয়েছেন। ওই বিমানে থাকা অন্য পাইলট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কী কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। এই জন্য ‘কোর্ট অফ এনকোয়ারির’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে ওই ফাইটার জেট প্রশিক্ষণের জন্য উড়েছিল। টুইন-সিটার জাগুয়ারটি একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ বিমান ছিল। দুই আসনের বিমান রাতের অভিযানের সময় বিধ্বস্ত হয়। ট্রেনিং-এর অংশ হিসাবে দুই পাইলট রাতে ওই বিমান নিয়ে উড়েছিলেন। বিমানের পাইলটরা কারিগরি ত্রুটির সম্মুখীন হন বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। বিমান ভেঙে পড়ার পরেই একজন পাইলট কোনওক্রমে নিজেকে ইনজেক্ট অর্থাৎ বিমান থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাইরে বেরিয়ে আসেন। ওই ঘটনায় একজন পাইলট মারা গিয়েছেন।বুধবার রাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে জামনগর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে শুভদ্রা গ্রামে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জাগুয়ার দুর্ঘটনার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে বিমানের একটি অংশে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিমানের অংশ।
এর আগে এসপি প্রেমসুখ দেলু জানান, দুর্ঘটনার পরেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ পাইলটের খোঁজ শুরু করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা একটি জোরাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান এবং এরপরই দুর্ঘটনাস্থল থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখেন। বিমানের দুর্ঘটনাস্থলে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা।কী কারণে যুদ্ধবিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে বায়ুসেনা।
গত ৭ মার্চও হরিয়ানার আম্বালায় ভারতীয় বায়ুসেনার একটি জাগুয়ার বিমান ভেঙে পড়ে। বায়ুসেনা কর্মকর্তারা জানান, পাইলট নিরাপদে ইজেক্ট করেন। বিমানটি আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে একটি প্রশিক্ষণ উড়ানে ছিল এবং মাঝপথে সিস্টেমের ত্রুটি দেখা দেয়। পাইলট দক্ষতার সাথে জনবসতি থেকে দূরে বিমানটিকে নিয়ে গিয়ে নিরাপদে ইজেক্ট করেন। জাগুয়ার একটি ব্রিটিশ-ফরাসি আক্রমণকারী যুদ্ধবিমান যা কাছাকাছি স্থলভাগে আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। ভারতই একমাত্র দেশ যারা এখনও ১৯৬০-এর দশকে তৈরি এই যুদ্ধবিমানটি ব্যবহার করছে।