বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রেমিকের সঙ্গে গিয়েছিলেন লজে। সেই লজ থেকেই উদ্ধার হয় বছর কুড়ির তরুণীর দেহ। মুখে ‘রাসায়নিক পাউডার’ গুঁজে তরুণীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক সিদ্দারাজুর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের মাইসুরুতে।অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই প্রেমিকা দর্শিতাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল।
আরও পড়ুন-'শক্তিহীন শান্তি কল্পনামাত্র!' 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে সামরিক শক্তিতে জোর সিডিএস-র
পুলিশ জানিয়েছে, দর্শিতার বাড়ি মাইসুরুর হুনসুর তালুকে। ১০ বছর আগে এপি সুভাষ নামে কেরলের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। সুভাষ দুবাইয়ে গাড়ি চালান। তাঁদের বছর দুয়েকের কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে মাইসুরুর পেরিয়াপটনা তালুকের সিদ্দারাজুর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন দর্শিতা।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রায় সাত বছর ধরে সিদ্দারাজুর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। সিদ্দারাজু দূরসম্পর্কের আত্মীয় ছিল দর্শিতার। অভিযুক্ত হার্ডওয়্যার দোকানের কর্মী ছিল। কেরল পুলিশ জানিয়েছে, খুনের আগের দিন অর্থাৎ গত ২২ আগস্ট কেরলের কান্নুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান দর্শিতা। তাঁর সঙ্গে ছিল সোনার গয়না ও ৪ লক্ষ টাকা নগদ। দর্শিতার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, ২ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের পুত্রবধূ। তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মেয়েকে তাঁর বাবা-মার কাছে রেখে কান্নুর ফিরে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়েছিলেন দর্শিতা। কিন্তু, ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন বন্ধ ছিল। কর্ণাটক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, গত পাঁচ বছরে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। কিছুদিন আগে থেকে সিদ্দারাজুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছিলেন দর্শিতা।কারণ তিনি তার স্বামীর সঙ্গে দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হন সিদ্দারাজু। ওই তরুণীকে ডেকে পাঠান।
আরও পড়ুন-'শক্তিহীন শান্তি কল্পনামাত্র!' 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে সামরিক শক্তিতে জোর সিডিএস-র
এরপর গত সোমবার ভেড়িয়া গ্রামের একটি লজে সিদ্দারাজুর সঙ্গে দেখা করতে যান দর্শিতা।কয়েক মিনিট পরে সিদ্দারাজু লবিতে ছুটে আসেন এবং দাবি করেন যে দর্শিতা গুরুতর আহত হয়েছে এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।তারপরেই লজের কর্মীরা রুমে গিয়ে দেখেন, তরুণীর শরীরের ঊর্ধ্বাংশ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মহিলার মুখের কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রথমে তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। সিদ্দারাজু দাবি করে যে তার মোবাইল ফেটে বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু পরে সে বিস্ফোরক ব্যবহারের কথা স্বীকার করে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সিদ্দারাজু প্রায় এক মাস আগে পুরানো চার্জার ব্যবহার করে একটি ডিভাইস তৈরি করেছিল।অভিযুক্ত জানে কীভাবে ডেটোনেটর কাজ করে।