বাংলাদেশের সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সকাল থেকেই সেদেশের রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীরা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তারই মাঝে বাংলাদেশের বিএনপির নেতা রুহুল রিজভিও সরব হয়েছেন। উল্লেখ্য, সদ্য় বাংলাদেশের ইউনুস সরকরের তরফে শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু নথি চাওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে, বিএনপি নেতার বক্তব্য, সরকার গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। একইসঙ্গে রুহুল রিজভির বিস্ফোরক দাবি, বাংলাদেশের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছে।
ঢাকায় বৃহস্পতিবার রিপোর্টার্স ইউনিটের এক আলোচনা সভায় যোগ দেন রিজভি। তাঁর বার্তা, বিএনপিতকে ভাঙার জন্য, এই সরকারের ভিতর কোনও ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কি না, তা অনেককে ভাবিয়ে তুলছে।
বিএনপির সিনিয়র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভি বলেন,রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কারা নির্বাচিত হবে, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি তা নির্ধারণ করে দেয়, তাহলে এ আত্মত্যাগের কী দাম থাকবে! একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার কালো আইনের বিরুদ্ধে বিএনপি সহ অনেক দলের আত্মত্যাগ রয়েছে।' কিন্তু আওয়ামি লিগের তৈরি আইনের সঙ্গে বর্তমান সাইবার সুরক্ষা আইনের কোনও ফরাক নেই, বলে তিনি দাবি করেন। তাঁর দাবি,' সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের যে রুটটি দেখছি, তাতে ভালো কিছু নেই।' সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, বিএনপিকে ভাঙার জন্য এই সরকারের ভেতরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কিনা, তা নিয়ে জনগণের ভেতরে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
ভারতের বিরুদ্ধেও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তিনি ফের রোষ তুঙ্গে রাখেন। বাংলাদেশের এই নেতা ফের প্রশ্ন তোলেন, ভারতে শেখ হাসিনার আশ্রয়কে কেন্দ্র করে,'ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয় কীভাবে? পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নীতি শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে।' রিজভির দাবি, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পরিবর্তিত দেশকে শুধু ভারত ছাড়া সবাই স্বীকৃতি দিয়েছে।’