ডিজে মিউজিকের উচ্চ আওয়াজে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করেন। অতিরিক্ত জোরালো গানের শব্দে যে কতটা ভয়ানক প্রভাব পড়তে পারে, তার প্রমাণ মিলল আরও একবার। বিহারের সীতামাঢ়ি জেলায় বিয়ের মণ্ডপেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এক পাত্র। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, অত্যন্ত জোরে বাজতে থাকা ডিজে মিউজিকের শব্দেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং প্রাণ হারান।
সূত্রের খবর, মালা বদলের পরেই হঠাত্ শরীর খারাপ হয়ে পড়েন সুরেন্দ্র কুমার নামের ওই যুবক। বিয়ের মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে-সঙ্গে হুলস্থুলু শুরু হয়ে যায়। আত্মীয়-পরিজনরা তাঁকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে সীতামাঢ়িতে বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন: রাত ১০টা বেজে যাওয়ায় সভায় মাইক ব্যবহার করলেন না মোদী
চলতি সপ্তাহের বুধবার এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বিয়ের মণ্ডপ তখন ভিড়ে ঠাসা। মঞ্চে উঠেছেন সুরেন্দ্র এবং কনে। দু'জনে প্রথামাফিক মালাবদল করেন। অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠানও পালন করা হয়। বরপক্ষের দাবি, সুরেন্দ্রর কোনও শারীরিক অসুস্থতার ইতিহাস ছিল না। ঘটনার দিনও বিয়ে করতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁর কোনও শরীর খারাপ ছিল না।
তবে তাঁরা জানিয়েছেন, বিয়ে করতে গিয়ে সুরেন্দ্র বিরক্ত হয়েছিলেন। অতি উচ্চস্বরে বাজতে থাকা ডিজে মিউজিক নিয়ে তিনি বারবার বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন। সেটি বন্ধ করার জন্যও অনুরোধ করতে থাকেন। কিন্তু তারপরেও নাকি সেই গান বন্ধ করা হয়নি। এরপরেই তিনি ধীরে ধীরে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন বলে দাবি করা হয়েছে।
মালাবদলের অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক মুহূর্ত পরেই, হঠাত্ই সুরেন্দ্র মঞ্চের মধ্যেই মেঝেয় পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চিকিত্সার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শব্দদূষণের ফল যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা যেন আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এত তারস্বরে বক্স-মাইক বাজা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন এগুলি বন্ধ করছে না কেন। এই বিষয়ে সমাজকর্মী রাজীব মিশ্র বলেন, 'প্রশাসনের কাছে এভাবে জোরে জোরে ডিজে মিউজিক বাজানোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার দাবি জানাই।' আরও পড়ুন: জোরে চলছে ডিজে, মধ্যমগ্রামের বিরিয়ানি দোকানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক