প্লাস্টিক দূষণ ঠেকাতে এবার অভিনব ব্যাগ তৈরি করলেন বাংলার গবেষক প্রীতম সরকার। রাউরকেল্লাতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে তাঁর টিম কাঁঠালবীজ থেকে তৈরি করেছে বিশেষ ধরনের ব্যাগ। কাঁঠাল, তেঁতুল, লিচুর মতো পরিচিত ফলের বীজ থেকে তৈরি হয় এই বায়ো ডিগ্রেডেবল ব্যাগ। ব্যাগ খবরের শিরোনামে আরেকটি বিশেষ কারণে। গবেষক জানিয়েছেন, এই ধরনের ব্যাগ দুই মাস অর্থাৎ ৬০ দিনের মধ্যে নিজে থেকে নষ্ট হয়ে যায়। প্রকৃতির সঙ্গে সহজে মিশে যায় বলেই এই ব্যাগ কোনও দূষণ ঘটাতে পারে না।
আরও পড়ুন - অ্যালুমিনিয়াম পাত্রে রান্না কতটা নিরাপদ? ব্রেন আর কিডনির বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
বীজ দিয়ে তৈরি ব্যাগ
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হলেও প্লাস্টিকের যথাযথ বিকল্প হিসেবে বাজারে অন্য কোনও ব্যাগ সেভাবে প্রচলিত নয়। এখানেই প্রীতম ও তাঁর দলের সাফল্য। কাঁঠাল, লিচু, তেঁতুলের মতো ফলগুলি খাওয়ার পর আমরা সেই বীজগুলি ফেলে দিই। আগে বাড়ির মা-ঠাকুমারা বলতেন, এই বীজগুলি রেখে দিতে। কারণ এগুলি মাটিতে পুঁতলে গাছ হবে। কাঁঠালের বীজ দিয়ে তো রান্নাও করা যায়। বাঙালি পদ হিসেবে সেসব রান্না বেশ জনপ্রিয়। এবার এই বীজগুলি কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ তৈরি করলেন এনআইটির গবেষকরা।
নিজেই উধাও হবে ২ মাস পর
বাজারে বর্তমানে প্লাস্টিক ব্যাগের চাহিদা তুঙ্গে। এই ধরনের ব্যাগগুলি তৈরির জন্য এলডিপিই বা এইচডিপিই ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ধরনের প্লাস্টিক পরিবেশের মিশে যেতে অন্তত ৭০০ বছর সময় নেয়। দীর্ঘ সময় নেয় বলে প্লাস্টিক পরিবেশের ও প্রাণীকূলের জন্য বিপজ্জনক। কিন্তু এই ব্যাগ উধাও হবে দুই মাস পর। অর্থাৎ মিলিয়ে যাবে পরিবেশে।
আরও পড়ুন - সাইয়ারা সিনেমার ৫ বিখ্যাত রোমান্টিক সংলাপ! মনে রাখলে আপনারও কাজে লাগতে পারে…
টাটকা থাকবে ফল, খাবার
এই ব্যাগ তৈরি করার জন্য তেঁতুলের পলিস্যাকারাইডের সঙ্গে স্টার্চকে মিশিয়ে দেওয়া হয়। তার পর এতে জিঙ্ক অক্সাউড ও চিটোসান নামক দুই যৌগ দিয়ে আরও মজবুত বানানো হয়। এই ধরনের ব্যাগ ফল ও খাবারের উপাদান সহজেই বইতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ব্যাগের মধ্যে বিভিন্ন ফল রাখলে সেগুলি ১৫ দিন পর্যন্ত টাটকা থাকবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।