বিশ্ব কূটনীতির আঙিনায় দক্ষিণ এশিয়ার বুকে চিনে আয়োজিত এসসিও সামিট এই মুহূর্তে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। চিনে এসসিওর সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক ও সেখান থেকে আসা বার্তা, দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতির আঙিনায় নতুন অঙ্ক তৈরি করতে পারে বলবে অনেকের মত। এই পরিস্থিতিতে মোদীর চিন সফরের কিছু আগে, ভারতের পড়শি রাষ্ট্র চিনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। সদ্য তিনি বাংলাদেশ ফিরেছেন। আর দেশে ফিরেই তিনি একাধিক তাবড় বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সদ্য সাক্ষাৎ করেছেন চিন সফর সম্পন্ন করে আসা বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামান। চিনে আয়োজিত এসসিও বৈঠকের ঠিক আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান চিনের সফরে যান। যানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের চিনের সফরে বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নতিতে চিনের তরফে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, গত ২৩ আগস্ট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকারের সঙ্গে চিনের নোরিনকো গ্রুপের প্রেসিডেন্ট চেন ডেফাঙয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রচলিত নোরিনকো গ্রুপের বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জামের আপগ্রেডেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা করা হয়, বলে খবর। এছাড়াও চিনের বেইজিং ও শিয়াংয়ে অবস্থিত নোরিনকো গ্রুপের বিভিন্ন কারখানা ও গবেষণাকেন্দ্র, চায়না এরোস্পেস লং মার্চ ইন্টারন্যাশনাল কো. লি. এবং অ্যাইশেঙ ইউএভি ফ্যাক্টরি সহ অন্যান্য আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন ওয়াকার উজ জামান।
এদিকে, সরকারি রীতি অনুসারে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান কোনও বিদেশ সফরে গেলে, সফর শেষে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে থাকেন। সোমবার সেই মতো ঢাকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওয়াকার উজ-জামান। এরপর দুপুরে ১২ টা নাগাদ ওয়াকার উজ-জামান সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। উল্লেখ্য, গত ২০ অগস্ট চিনের সফরে যান বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। আর তিনি ফেরেন ২৭ অগস্ট।