মূলত মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে নতুন করে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেটি একটি টেলিকম সংক্রান্ত মামলা। অভিযোগ, গ্রামীণ টেলিকম কর্মী কল্যাণ ফান্ডের প্রায় ২৫ কোটি ২২ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে দুর্নীতি দমন কমিশন অর্থনীতিবিদ এবং ১৩ জনকে অভিযুক্ত করেছে।
নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি মামলায় কিছুদিন আগেই জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুস। আর সেই জামিনের কয়েকদিন পরেই তাঁর বিরুদ্ধে আবার একটি দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দিল বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা। বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে একটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। মুহাম্মদ ইউনুস ছাড়াও আর ১৩ জনের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
মূলত মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে নতুন করে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেটি একটি টেলিকম সংক্রান্ত মামলা। অভিযোগ, গ্রামীণ টেলিকম কর্মী কল্যাণ ফান্ডের প্রায় ২৫ কোটি ২২ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে দুর্নীতি দমন কমিশন অর্থনীতিবিদ এবং ১৩ জনকে অভিযুক্ত করেছে। মুহাম্মদ ইউনুস গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান। তিনি এটিকে একটি অলাভজনক সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আরও যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তারা হলেন এই সংস্থার পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা মুহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি। আগামী ৩ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।’ যদিও এই ঘটনার পরে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অর্থনীতিবিদের সমর্থকরা। তারা এটিকে মিথ্যা মামলা বলে দাবি করেছেন। তবে মুহাম্মদ ইউনুসকে হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মিথ্যা মামলা করেনি। তিনি বলেন, মুহাম্মদ ইউনুসকে সতর্ক করা হয়েছিল এবং এই লঙ্ঘনগুলি প্রতিরোধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ উপেক্ষা করেছিলেন। তাই শ্রম বিভাগ একটি মামলা করেছে। মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, কেউ অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে একটি আদালত দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত মুহাম্মদ ইউনুসকে জামিন দেয়। এই মামলায় গত ১ জানুয়ারি তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালত তাঁর দণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানির জন্যও রাজি হয়।