অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা, অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (ASIO) 'বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য' পাওয়ার পর, অস্ট্রেলিয়া ইরানের রাষ্ট্রদূত আহমেদ সাদেঘিকে বহিষ্কার করেছ। বর্তমান কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বহিষ্কার বেশ তাৎপর্যপবর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার বুক থেকে কোনও ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হল। যা নিঃসন্দেহে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বড় ঘটনা।
অস্ট্রেলিয়ার বুক থেকে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ৭ দিনের সময় দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালবেনিজ সরকার। ইরানের রাষ্ট্রদূত সাদেঘি সহ ৪ অফিসারকে অস্ট্রেলিয়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন এই কিনারায় পৌঁছেছে যে, ইরান সরকার গত বছরের অক্টোবরে সিডনির একটি কোশার ফুড কোম্পানি লুইস কন্টিনেন্টাল কিচেন এবং গত বছরের ডিসেম্বরে মেলবোর্নের আদ্দাস ইসরায়েল সিনাগগে হামলার নির্দেশ দিয়েছিল। যে দুই ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টিনও অ্যালবেনিজ।
অস্ট্রেলিয়ার স্পাই এজেন্সির প্রসঙ্গ তুলে ধরে অসি প্রধানমন্ত্রী বলেন,' ASIO যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে যা একটি গভীর উদ্বেগজনক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। ইরান সরকার অন্তত দুটি হামলার নির্দেশ দিয়েছিল। ইরান তার জড়িত থাকার ঘটনা গোপন করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু ASIO মূল্যায়ন করে যে তারা এই হামলার পিছনে ছিল।'আলবানিজ বলেন, অস্ট্রেলিয়াও ইরানে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান কূটনীতিকদের তৃতীয় কোনও দেশে প্রত্যাহার করে সরিয়ে দিচ্ছে। ২০২৩ সালে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার দুটি শহরে ইহুদি-বিরোধী ঘটনা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আলবানিজ বলেন, অস্ট্রেলিয়া ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য আইন প্রণয়ন করবে। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী অ্যালবেনিজ বলেন,'অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একটি বিদেশী জাতির দ্বারা পরিচালিত অসাধারণ এবং বিপজ্জনক আগ্রাসন ছিল এগুলো। এগুলো ছিল সামাজিক সংহতি নষ্ট করার এবং আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা। এটা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।'