ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপের কথা মুখে বহু আগেই বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, সেই শুল্ক লাগুর মেয়াদ শুরুর সময় এবার আসছে। এদিকে, এরই মাঝে ক্রমেই দেখা যাচ্ছে, চিনের সঙ্গে ভারতের সখ্যতা বাড়ছে। যদিও দিল্লি সাফ জানিয়েছে, চিনের সঙ্গে ভারতের সখ্যতা, মার্কিন শুল্ক অঙ্কের প্রেক্ষিতে তৈরি হচ্ছেনা। এই অবস্থায় আমেরিকা থেকে চিনকে নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠে!
ট্রাম্প বলেন যে আমেরিকা চিনের সাথে ‘দুর্দান্ত সম্পর্ক’ ধরে রাখতে চায় আমেরিকা। তিনি আরও বলেন যে ওয়াশিংটনের হাতে অবিশ্বাস্য কার্ড (তাস) রয়েছে, যদি তারা এটি খেলে তবে ‘চিনকে ধ্বংস হবে।’ হোয়াইট হাউসে এক বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন,'চিনের সাথে আমাদের দুর্দান্ত সম্পর্ক থাকবে... তাদের কিছু কার্ড (তাস) আছে। আমাদের অবিশ্বাস্য কার্ড আছে, কিন্তু আমি সেই কার্ড খেলতে চাই না। যদি আমি সেই কার্ড খেলি, তাহলে তা চিনকে ধ্বংস করে দেবে। আমি সেই কার্ড খেলতে যাচ্ছি না।'
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে যখন তিনি এই মন্তব্য করেন, তখন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি লি জে মিউং, মার্কিন রাষ্ট্রপতির পাশে বসে ছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী ভারতীয় আমদানি পণ্যের উপর ৫০% শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন এবং ২৭শে আগস্ট থেকে শুল্ক আরোপের কথা রয়েছে। ট্রাম্প রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের শুল্ক দ্বিগুণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে একটি নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বলেন,' আমি সিদ্ধান্ত নিই যে ভারতের পণ্য আমদানির উপর অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণের শুল্ক আরোপ করা প্রয়োজন এবং উপযুক্ত, কারণ ভারত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাশিয়ান ফেডারেশনের তেল আমদানি করে।' এদিকে, রাশিয়ায় বসে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর মার্কিনি এই বার্তার পাল্টা হিসাবে বলেন,'ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আপনাদের ভারতের থেকে তেল কেনা বা পরিশোধিত পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকে, তাহলে কিনবেন না। কেউ আপনাকে কেনার জন্য জোর করছে না। ইউরোপ কেনে। আমেরিকা কেনে। তো আপনার যদি ভালো না লাগে, তাহলে কিনবেন না।'
প্রসঙ্গত, চিন রাশিয়ান তেলের বৃহত্তম ক্রেতা হওয়া সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে এই ধরণের কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। ট্রাম্প সম্প্রতি চিনের জন্য শুল্কের সময়সীমা, যা আগে ১২ই আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল, আরও ৯০ দিন বাড়িয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র চিনের জন্য ফেন্টানাইল-সম্পর্কিত শুল্কে ২০% শুল্ক আরোপ করেছিল এবং বেস রেট ১০% ছিল, যার ফলে চিনা আমদানির উপর মোট শুল্ক ৩০%।