বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-কেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কংগ্রেস। জেডিইউয়ের তরফে রাজীব রঞ্জন জানান, নাগাল্যান্ডে পার্টির প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে তিনি শ্রীনগর যেতে পারছেন না। তবে কংগ্রেসের এই কর্মসূচির প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বাকি পার্টিগুলির অবস্থান দেখে নেওয়া যাক।
রামবান এলাকায় কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার দৃশ্য। (ANI Photo)
শ্রীনগরে শেষ হতে চলেছে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ ভারত থেকে শুরু হয়েছিল এই যাত্রা। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন এই যাত্রা এবার সমাপ্তির পথে। ২০২৩ , ৩০ জানুয়ারি শেষ হতে চলেছে কংগ্রেসের এই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’, তবে এই যাত্রার ‘ফিনালে’-এ তে বিজেপি বিরোধী জোটের যে এককাট্টা ছবি তুলে ধরার পরিকল্পনা ছিল, তা সম্ভবত দেখা যাবে না বলে সূত্রের দাবি। একাধিক বিরোধী দল জানিয়েছে, শ্রীনগরে যাত্রার শেষদিনে সম্ভবত তারা থাকতে পারবে না। এই দলের তালিকায় রয়েছে বিহারের শাসক জোটের জেডিইউ।
উল্লেখ্য, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা সাংসদ এইচডি দেবেগৌড়া জানিয়েছেন, এই যাত্রার শেষলগ্নের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে দেবেগৌড়া শ্রীনগর পৌঁছতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-কেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কংগ্রেস। জেডিইউয়ের তরফে রাজীব রঞ্জন জানান, নাগাল্যান্ডে পার্টির প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে তিনি শ্রীনগর যেতে পারছেন না। তবে কংগ্রেসের এই কর্মসূচির প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি রাহুল শিবিরকে এই যাত্রা ঘিরে শুভেচ্ছা বার্তাও জানান। এদিকে, নীতীশ কুমার নিজে ব্যস্ত বিহার জুড়ে তাঁর নিজের পদযাত্রা ঘিরে। উল্লেখ্য, বেশ কিছু সূত্রের দাবি, বিষয়টি নিয়ে বেশ খানিকটা মনক্ষুণ্ণ কংগ্রেস। দলের তরফে বলা হচ্ছে, বিহারের রাজনীতিতে শরিকি দ্বন্দ্বে যখন আরজেডি ও জেডিইউ বেশ কিছু ইস্যুতে লড়াই করছিল, তখন তাদের পার্টি নিরপেক্ষ অবস্থানে ছিল। ( বিটিং রিট্রিট থেকে সংসদে আলোকসজ্জা! প্রজাতন্ত্র দিবসে গায়ে কাঁটা দেওয়া মুহূর্ত)