রবিবার হোসকোটের একটি মন্দিরে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের পরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছিল। তা খাওয়ার পরেই একে একে ১৩৫ জনের পেট ব্যাথা, বমি হতে শুরু করে। এরপর তড়িঘড়ি তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়।
হাসপাতালে অসুস্থদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক শরৎ বাচেগৌড়া।
কর্ণাটকের একটি মন্দিরে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ১৩৫ জন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের হোসকটে। মৃত মহিলার নাম সিদ্দগাঙ্গামা। অসুস্থদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মধ্যে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনও অনেকের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে প্রসাদে বিষক্রিয়ার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার হোসকোটের একটি মন্দিরে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের পরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছিল। তা খাওয়ার পরেই একে একে ১৩৫ জনের পেট ব্যাথা, বমি হতে শুরু করে। এরপর তড়িঘড়ি তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অসুস্থরা হোসকোট, কোলার এবং বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সিদ্দগাঙ্গামা নামে ওই মহিলাকে একই উপসর্গের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে তিনি মারা যান। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা হোসকোটের কাবেরী নগরের বাসিন্দা। সিদ্দগাঙ্গামা প্রসাদ নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামীও মন্দির থেকে নিয়ে যাওয়া সেই প্রসাদ খেয়েছিলেন। এরপর দুজনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তাদের সব রকমভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে। হোসকোট অঞ্চলের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ উমেশ বলেছেন, ‘তথ্য পাওয়ার পরপরই আমরা প্রসাদের নমুনা সংগ্রহ করতে মন্দির পরিদর্শন করেছি। কিন্তু প্রসাদের নমুনা পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত ২৩৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা আরও ব্যবস্থা করেছি। আরও রোগী আসলে সেক্ষেত্রে শয্যা এবং অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’