গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রমেশ গর্গের বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে।পুলিশের দাবি, ৫ লক্ষ টাকা নগদ ও গয়না লোপাট করেছে চোরেরা। আর এই ঘটনা ঘটেছে রাখি বন্ধনের দিন। একই দিনে আশপাশের এলাকায় আরও বেশ কয়েকটি একই ধরনের চুরির খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন-'আমাকে বাঁচাও!' মাঝরাতে প্রেমিককে মেসেজ, করুণ পরিণতি তরুণীর
এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট, রবিবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ ইন্দোরের অভিজাত বিজয় নগর এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রমেশ গর্গের বাসভবনে চুরির ঘটনাটি ঘটে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে, কীভাবে পেশাদার পরিকল্পনায় ঘটানো হয় এই অপরাধ। চুরির সময় অ্যালার্ম বেজে উঠলেও বিন্দুমাত্র বিচলিত হয়নি দুষ্কৃতীরা। মুখোশ, হাতমোজা পরে, লোহার রড হাতে প্রাক্তন বিচারপতির বাড়িতে ঢুকে মাত্র ৪ মিনিট ১০ সেকেন্ডে সব তোলপাড় করে।পুলিশ সূত্রে খবর, মোট তিনজন চোর ঘটনাস্থলে ছিল। একজন লোহার রড হাতে শোওয়ার ঘরে ঢুকে বিচারপতির পুত্রের বিছানার পাশে দাঁড়িয়েছিল, তিনি ঘুম থেকে উঠলেই মারধর করবে বলে। সেই সময় দ্বিতীয় চোর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে মূল্যবান সামগ্রী জড়ো করছিল। তৃতীয় জন বাইরে প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে নজরদারি চালাচ্ছিল।
আরও পড়ুন-'আমাকে বাঁচাও!' মাঝরাতে প্রেমিককে মেসেজ, করুণ পরিণতি তরুণীর
ঘটনার সময় প্রাক্তন বিচারপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গভীর ঘুমে ছিলেন, ফলে কিছুই টের পাননি। চোরেরা পালিয়ে যাওয়ার পরই পরিবারের নজরে পড়ে চুরির ঘটনা।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাড়ির বাইরে একজন নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও, দুষ্কৃতীরা লোহার জানালার গ্রিল কেটে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে।ইন্দোর পুলিশের সিনিয়র অফিসার উমাকান্ত চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে আলাদা আলাদা তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই চক্র আগে থেকেই একই ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত।’ তিনি আরও বলেন, 'বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্ত এগোচ্ছে। সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে জেরা শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী আমরা।’ এদিকে, আশপাশের এলাকার আরও কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে এসেছে পুলিশের। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে সংগঠিতভাবে কাজ করছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী একের পর এক বাড়ি টার্গেট করছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই অপরাধচক্রকে দ্রুত গ্রেফতার করাই এখন অগ্রাধিকার।