২০২৪ লোকসভা ভোটের ফলাফল ভারতে প্রকাশিত হয়েছে গত ৪ জুন। তারপর কেটে গিয়েছে ৬ দিন। মাঝে ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ পর পর তৃতীয়বারের জন্য নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই দিনই আবার টি ২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। এরপর এল প্রধানমন্ত্রী পদে মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাকিস্তানের অভিনন্দন বার্তা।
ভোটের ফলাফলের ঠিক ৬ দিন পর এবার শেষমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য এল ইসলামাবাদের অভিনন্দন বার্তা। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান শেষমেশ ভারতের ১৫ তম প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য সৌজন্যমূলক অভিনন্দন বার্তা পাঠাল। এর আগে, গত ৪ জুনের ফলাফলে বিজেপি দেশে এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসন দখল করে অন্যদের তুলনায়। তবে ২৪০ টি আসন নিয়ে বিজেপি একা পার করতে পারেনি ম্যাজিক ফিগার। জোটের শরিকদের সমর্থনে এরপর পর পর তৃতীয়বারের জন্য এল এনডিএ সরকার। এরপর নরেন্দ্র মোদী শপথ গ্রহণ করেন ৯ জুন। তাঁর শপথের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক লাইনের একটি শুভেচ্ছা বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘ ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন।’
প্রসঙ্গত, গোটা ভোট পর্ব জুড়ে, পাকিস্তানকে ঘিরে বিজেপি নেতারা এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী একাধিক মন্তব্য করেছেন। অমিত শাহের মন্তব্য বহুবার কাশ্মীর ইস্যু এসেছে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে হুঙ্কার দিয়েছেন অমিত শাহ। পাকিস্তান, চিনকে গর্জনের সুর এসেছে রাজনাথ সিংয়ের কণ্ঠেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও পুলওয়ামা, পাকিস্তান ইস্যুতে সরব হন।এরপর ৪ জুন ভারতের মেগা ভোটপর্বের ফলাফল বের হয়। লোকসভা ভোটে বিজেপি ২৪০ আসন দখল করে। এরপর এনডিএ সরকার গড়ার পথে হাঁটতেই বহু দেশ থেকে এসেছে নরেন্দ্র মোদীর জন্য শুভেচ্ছা বার্তা। তবে পাকিস্তানের তরফে তখনও আসেনি কোনও মন্তব্য। শেষমেশ তা এল! উল্লেখ্য, পাকিস্তানের শুভেচ্ছা বার্তা এমন এক সময়ে এল, যার ঠিক আগের দিনই টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভারতের কাছে পরাজিত হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার সদ্য পাকিস্তান জানিয়েছে, তার সমস্ত প্রতিবেশীর সঙ্গে 'সহযোগিতামূলক বন্ধন' তারা চায়, এই প্রতিবেশীদের তালিকায় ভারতও রয়েছে। যদিও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের দফতরের মুখপাত্রকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে কেন দেশটি নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর নির্বাচনী জয়ের জন্য অভিনন্দন জানায়নি, তখন তিনি সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, যে এটা ভারতের জনগণের অধিকার যে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব নেতৃত্ব সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন, ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে তার দেশ পাকিস্তানের কোনও বক্তব্য নেই।