দিঘাতে তৈরি হয়েছে অপূর্ব সুন্দর জগন্নাথধাম। ঠিক যেন পুরীর জগন্নাথ মন্দির। বিরাট এলাকার উপর, বিপুল খরচ করে তৈরি হয়েছে এই অপূর্ব সুন্দর মন্দির। সামনের অক্ষয় তৃতীয়ায় সেই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই মন্দিরের কাছেই আছে পুরনো একটি জগন্নাথ মন্দির। ওল্ড দিঘাতে রয়েছে সেই মন্দির। জেনে নিন তারই কিছু কথা।
একেবারে সমুদ্রের ধারে রয়েছে এই জগন্নাথ দেবের মন্দির। আসলে এটা আগে ছিল গঙ্গামন্দির।পরবর্তী সময়ে সেটি জগন্নাথমন্দিরে রূপান্তরিত হয়। তার নেপথ্যেও রয়েছে একটা কাহিনি।
মন্দিরের পাশে বিশাল হোর্ডিংয়ে লেখা আছে এই জগন্নাথমন্দির তৈরির ইতিকথা। তার শিরোনাম, ওল্ড দিঘা সমুদ্রতটে জগন্নাথদেবের মন্দির নির্মাণের কাহিনি। ১৯৮৫ সাল থেকে এখানে মা গঙ্গা ও মহাকালমূর্তির আরাধনা করা হত। মৎস্যজীবীদের আরাধ্য দেবতা। তালপাতার তৈরি অস্থায়ী মন্দিরে হত পুজোপাঠ। নন্দীগ্রাম থেকে আগত সাধু বলরাম দাস এখানে পুজো করতেন। অনেকেই দিঘা বেড়াতে এসে এই মন্দিরে আসতেন। তেমনই কলকাতার বাসিন্দা সমীর মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রীও গিয়েছিলেন দিঘায়। তাঁরাও ওই ছোট্ট মন্দিরে যেতেন। ওই মন্দিরের কাছে দীর্ঘক্ষণ থাকতেন তাঁরা।
মন্দির সূত্রে খবর, এরপর ১৪১৩ সন, ৬ই চৈত্র বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সমীর মণ্ডল স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। সেই সময় তাঁরা দেখতে পান সমুদ্রে কিছু যেন ভাসছে। সেই সময় জোয়ার চলছে। বোঝা যায় তিনটি মূর্তি ভাসছে। জগন্নাথদেব, বলরামদেব ও সুভদ্রার মূর্তি ভেসে এসেছিল সমুদ্রের জলে। এরপর সেগুলি সমুদ্র থেকে তুলে নিয়ে আসা হয় পুরনো মন্দিরের কাছে। এরপর ঠিক করা হয় এখানেই তৈরি হবে মন্দির। সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হবে এই তিন মূর্তিকে। আর্থিক সহযোগিতা করেন সমীর মণ্ডল সহ অন্যান্যরা। এরপর নব কলেবরের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর শুরু হয় পুজোপাঠ। এটাই দিঘার আদি জগন্নাথ মন্দির। এমনটাই দাবি করা হয়। এখানেও এসেছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর এই আদি জগন্নাথমন্দিরকে মাসির বাড়ির স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।