গত কয়েক বছর ধরে, জিম সংস্কৃতি শহুরে জীবনের সঙ্গে সমার্থক হয়ে উঠেছে। অনেক তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ থাকার জন্য স্ট্রেন্থ ট্রেনিং, ওয়েট ট্রেনিংয়ের মতো ওয়ার্কআউটে জোর দিচ্ছেন। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই শরীরের ক্ষমতা বুঝে ব্যায়াম না করার ফলে বড় বিপদে পড়তে হয়! ২০ বছর বয়সের পর জয়েন্ট এবং হাড়গুলিতে চাপ বেশি পড়লে "বোন বার্নআউট" (Bone Burnout) হতে পারে। এতে হাড় ও জয়েন্ট ক্ষয়ে যেতে শুরু করে।
আরও পড়ুন - ডেঙ্গি মানেই ভয় নয়, সুস্থ হওয়ার চাবিকাঠি আপনার হাতেও, কী বলছেন চিকিৎসক?
কেন তরুণ প্রাপ্তবয়স্করা বোন বার্নআউটের ঝুঁকিতে?
তরুণ প্রাপ্তবয়স্করা প্রায়শই বয়স্কদের তুলনায় তাদের হাড় এবং জয়েন্টকে বেশি চাপ দেয়। এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব সম্পর্কে তারা সচেতন থাকে না। তরুণ প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত ওয়ার্ম-আপ না করেই অতিরিক্ত সময় ধরে ওজন প্রশিক্ষণ করে, হাঁটুর ব্যথা বা পিঠের ব্যথার মতো তরুণাস্থির ক্ষয়ের প্রাথমিক লক্ষণগুলিকে উপেক্ষা করে। যা ইউরোপীয় অভিজাত ক্রীড়াবিদদের মতো দ্রুত গতিতে তরুণাস্থির ক্ষতি করতে পারে, যেমন মেনিসকাস টিয়ার (meniscus tears)। ২০-৩০ বছর বয়সীরা এভাবে অকাল আর্থ্রাইটিস যেমন অস্টিওআর্থারাইটিসে (osteoarthritis) আক্রান্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন - ৯০০ স্কুল থেকে ১২০০০ প্রতিযোগী! সাইকোলজির কুইজ কন্টেস্ট কলকাতার হাসপাতালে
চিকিৎসায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব
গুরুতর ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ফিজিওথেরাপি এবং প্রতিরোধমূলক যত্ন হলো এই সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ। তবে, গুরুতর ক্ষেত্রে হাঁটু বা অন্য আঘাত লাগা জয়েন্টের ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করতে হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে অস্ত্রোপচারের। অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে বর্তমানে চিকিৎসকরা ভরসা রাখেন রোবটিক সার্জারিতে। এই ধরনের সার্জারিতে কাটাছেঁড়ার পরিমাণ কম হয়। অন্যদিকে রোগী দ্রুত সেরে ওঠে। যার ফলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে বেশি সময় লাগে না।