বাংলা ও মিঠা পাতা পানের মধ্যে সুপরিচিত হলেও আরও বেশ কয়েকটি জাতের পান চাষ প্রচলিত রয়েছে আমাদের বঙ্গদেশে। তার মধ্যে অন্যতম হল কর্পূরী, গ্যাচ, নাতিয়াবাসুত, উজানী, মাঘি, দেশী, বরিশাল ও ঝালি ইত্যাদি। পানের বরজে যেকোনও জাতের পানই চাষ করা যায়। কিন্তু কীভাবে চাষ করলে বাড়বে ফসল? তারই কিছু টিপস রইল এখানে।
মাটি ও বীজ রোপণ: পান চাষের জন্য উঁচু, জলে ভেসে যাবে না, বেলে দোআঁশ বা এটেল দোআঁশযুক্ত জমি দরকার। এছাড়াও ছায়াসহ নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া গাছ বেড়ে ওঠার জন্য জরুরি। কাটিং সামান্য কাত করে অর্ধেকটা মাটির নিচে এবং বাকি অর্ধেক চোখ বা মুকুল মাটির ওপর রাখাই নিয়ম। দ্বিসারি পদ্ধতিতে চাষ করলে ৩-৬ ইঞ্চির লম্বা কাটিং শতক প্রতি ৪০০-৫০০ টি লাগবে। রোপণের আগে জমিকে আগাছামুক্ত করে নিন। এরপর মাটি সমতল ও উঁচু করে প্রতি ৬০ সেন্টিমিটার পর পর ২০ সেন্টিমিটার চওড়া নালা তৈরি করে নিন। বরোজের বাইরে একটি বড় নিকাশি নালার সঙ্গে এই ছোট নালাগুলো জুড়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন - রঙের জেরেই পাল্টে যেতে পারে মেজাজ! মনের উপর কোন রং কেমন প্রভাব ফেলে জানেন?
চারা রোপণ কীভাবে?
২৫ ইঞ্চি চওড়া রাস্তা বরোজের ভেতরে চারিদিকেরাখতে হয়। ৫০ ইঞ্চি চওড়া করে প্রতিটি বেড তৈরি করে নেওয়া দরকার। দুই লাইনে চারা রোপণ করতে হয় প্রতিটি বেডে। একটি লাইন থেকে আরেকটি লাইনের দূরত্ব ১২-১৫ ইঞ্চি রাখতে হয়। আবার ১২ ইঞ্চি নালা প্রতি দুই বেডের মাঝখানে রাখা দরকার।আরও পড়ুন - আর্থ ডে পালনে কেন বেছে নেওয়া হল এমন একটি থিম? কী বলছে আর্থ সংস্থা? অবাক করা কারণ
সার
প্রথমবার জমি তৈরির সময় চাষের পর মাটিতে একর প্রতি ২০০ কেজি তিলের খোল বা নিম তেল, ৪০ কেজি টিএসপি ও ৬০ কেজি এমওপি সার মিশিয়ে দিতে পারেন। পরবর্তীকালে প্রতি শতক জমির জন্য সমান চার ভাগ করে বছরে ৪ বার খোল ২০ কেজি, ২.৫ কেজি এসএসপি, ৬০০ গ্রাম এমওপি এবং ১.৮ কেজি ইউরিয়া সার জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।