কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার জেরে এবার গ্রীষ্মকালীন কাশ্মীর পর্যটনে বড় প্রভাব পড়তে পারে। আগামী কয়েকদিনের মধ্য়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর পর্যটকের কাশ্মীর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতিতে একাধিক ট্যুর অপারেটর আগামী কয়েকদিনের ট্যুর প্রোগ্রাম বাতিল করে দিচ্ছে বলে খবর। কয়েকজন এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
মাঝে একটা সময় ছিল জঙ্গি হামলার আতঙ্কে কাশ্মীরে যেতে ভয় পেতেন সাধারণ পর্যটকরা। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বাতিল হতে শুরু করে। এসবের মধ্যেই ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে ৩৭০ ধারা রদ হয়েছিল। তারপর থেকে ক্রমে পর্যটকদের সংখ্য়া বাড়তে থাকে কাশ্মীরে। বিভিন্ন ট্যুর এজেন্সি সূত্রে খবর, এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত কাশ্মীর ভ্রমণের প্রতি পর্যটকদের একটা আকর্ষণ থাকে। এরপর থেকে অমরনাথ যাত্রায় যেতে চান অনেকেই।
কিন্তু মঙ্গলবার কাশ্মীরে জঙ্গি হানার পর থেকেই সব কিছু যেন ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। বাগুইআটির একটি ট্যুর এজেন্সির পাপাই মিত্র হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, ২রা মে আমাদের এজেন্সির মাধ্য়মে কাশ্মীর ভ্রমণের একটা কর্মসূচি ছিল। সকলেই নয়ডার। কিন্তু বুঝতে পারছি না কী করব। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।
একাধিক ট্যুর অপারেটর জানিয়েছেন কাশ্মীর ভ্রমণ মানেই পহেলগাঁও। পর্যটকরা অনেকেই এই জায়গাটাতে যেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সেই পহেলগাঁও রক্তাক্ত হয়েছে। জঙ্গি হানা। তারপর থেকে পর্যটকদের মনে নতুন করে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।
ট্যুর এজেন্সিগুলি জানিয়েছে কাটরা থাকলে মোটামুটি ১১ দিনের মধ্য়েই কাশ্মীর ঘুরে আসা যায়। কাটরা বাদ থাকলে ৮দিনেই ঘুরে আসা যায় কাশ্মীর। তবে মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে একের পর এক ফোন আসছে বিভিন্ন ট্যুর এজেন্সির অফিসে। কয়েকজন পর্যটক ইতিমধ্য়েই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা এখনই যেতে চান না কাশ্মীরে। ট্যুর বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে ট্যুর এজেন্সিগুলিও কিছুটা দ্বিধায় রয়েছে। সেই সঙ্গে একাধিক পরিবার রয়েছে যাঁরা এই কলকাতার ট্যুর এজেন্সির ব্যবস্থাপনাতেই বর্তমানে কাশ্মীরে রয়েছে। তাঁদের সুরক্ষার দিকে নজর রয়েছে পর্যটন এজেন্সিগুলির।
একাধিক ফোন আসছে ট্যুর এজেন্সির অফিসে। সকলেই জানতে চাইছেন এখন কি যাওয়া যাবে কাশ্মীরে? যাওয়া কি নিরাপদ হবে? বাতিলের অনুরোধও করছেন অনেকেই।
কলকাতার অপর ট্যুর এজেন্সির কর্ণধার অয়ন রায় হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, অনেক ফোন আসছে। কিছুটা ভয় তো আছেই পর্যটকদের মধ্য়ে। ১৮ মে আমাদের গ্রুপে যাওয়ার কথা ছিল কাশ্মীরে। মনে হয় বাতিল করতে হবে। তবে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।