হাড় মজবুত করা থেকে শুরু করে সুন্দর দাঁত পর্যন্ত, আমরা ছোটবেলা থেকেই দুধ পান করার পরামর্শ শুনে আসছি এবং এখন আমরা আমাদের বাচ্চাদেরও দিচ্ছি। কারণ দুধ এবং দইয়ের মতো দুগ্ধজাত পণ্য ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। ক্যালসিয়ামের সঠিক ব্যবহার রক্ত জমাট বাঁধা, পেশী সংকোচন রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখে, হাড়, দাঁত, হৃদপিণ্ড এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। কিন্তু আপনি যদি এমন লোকদের মধ্যে থাকেন যারা মনে করেন যে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য দুধই একমাত্র সেরা সমাধান, তাহলে আসুন আমরা আপনাকে বলি, আপনি ভুল। হ্যাঁ, দুধ ছাড়াও প্রকৃতিতে এমন অনেক খাবার রয়েছে, যাতে দুধের চেয়ে বহুগুণ বেশি ক্যালসিয়াম থাকে।
- চিয়া বীজ: পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ দুই টেবিল চামচ চিয়া বীজে প্রায় ১৭৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম ছাড়াও, এই বীজগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য, আপনি এই বীজগুলি জুস, স্মুদি বা সালাদে ছিটিয়ে খেতে পারেন।
- বাদাম বাদাম কেবল ক্যালসিয়াম নয়, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারেরও একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। বাদাম দুধের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। প্রায় ২৩টি বাদামে ৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
- সয়াবিনকে সাধারণত প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি-এর সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে আমরা আপনাকে বলি যে সয়াবিনেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
- রাগি রাগি ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস। এটি দুধের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম রাগিতে প্রায় ৩৪৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য, আপনি রুটি, দোসা বা ইডলিতে রাগির আটা ব্যবহার করতে পারেন।
- শুকনো ডুমুর শুকনো ডুমুর কেবল ক্যালসিয়ামই নয়, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও একটি ভালো উৎস। ১০০ গ্রাম শুকনো ডুমুরে প্রায় ১৬২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ডুমুর খেলে হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করা যায়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।