অমিতাভ বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন আজকাল আর সেভাবে একে অপরকে নিয়ে প্রকাশ্যে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেভাবে কোনও কথা বলেন না। তবে তাঁদের একে অপরের সঙ্গে ছোট ছোট উপস্থিতি ও স্নেহের বিরল মুহুর্তই তাঁদের বন্ধনকে আরও স্পষ্ট করে দেয়। গত ডিসেম্বরে মুম্বইয়ে মেয়ে আরাধ্যার স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে শ্বশুরমশাই অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে হাজির ছিলেন ঐশ্বর্য। অনুরাগীদের চোখ এড়ায়নি যে সেই অনুষ্ঠানে রাই সুন্দরী তাঁর শ্বশুরের হাত ধরে তাঁকে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটতে সাহায্য করছিলেন।
তবে শুধু পুত্রবধূ হিসাবে নয় ঐশ্বর্য তারও বহু আগে থেকে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে এক ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। তাঁরা দুজনেই ‘মহব্বতেঁ’ ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন, যেখানে অমিতাভ তাঁর বাবার চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবির সেই চরিত্রে অমিতাভ বাইরে থেকে একজন কঠোর নিয়মানুবর্তি এবং একই সঙ্গে নিয়ম মেনে তিনি মেয়েকে মানুষ করেছিলেন।
অমিতাভের কন্যা সম ঐশ্বর্য
অমিতাভ পুত্র অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিয়ের পর এক সাক্ষাৎকারে অমিতাভ বলেছিলেন, ঐশ্বর্য কত সহজে তাঁদের পরিবারের অংশ হয়ে উঠেছেন। ২০১৯ সালে একটি অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে Big B বলেন, ‘আমাদের জন্য আলাদা করে কিছুই বদলাইনি, মনে হচ্ছিল এক মেয়ে চলে গেছে এবং আরেকজন এসেছে।’
অমিতাভ সবসময়ই নিজের মেয়ে শ্বেতা বচ্চন নন্দার প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি শ্বেতার সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন। তবে তিনি ঐশ্বর্যের প্রতিও ঠিক ততটাই স্নেহশীল, প্রায়শই জন্মদিন বা উৎসবে তাঁর পারিবারিক ছবিতে সেবিষয়গুলি ফুটে ওঠে।
২০২০ সালে, পুরো বচ্চন পরিবার - অমিতাভ, অভিষেক, ঐশ্বরিয়া এবং আরাধ্য - COVID-19 এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অমিতাভ। তিনি হিন্দিতে টুইট করেছেন, 'আপনি ছোট বিটিয়া অর বহু রানি কো হাসপাতল সে মুক্তি মিলনে পার মে রোক না পায়া আপনে আঁসু। প্রভু তেরি কৃপা আপার, অপ্রাম্পার (আমার ছোট মেয়ে এবং পুত্রবধূকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে দেখে, আমি আমার কান্না থামাতে পারিনি।)।
বচ্চন পরিবারে ফাটল?
এরপর ২০২৪ সালে ছড়িয়ে পড়ে বচ্চন পরিবারে ফাটলের গুঞ্জন। এমনকি অভিষেক-ঐশ্বর্য ডিভোর্সের খবরও ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বচ্চন বাড়ির কেউই এই গুজবের বিষয়ে কখনও কথা বলেননি এবং মর্যাদাপূর্ণ নীরবতা বজায় রেখেছিলেন। তবে ঐশ্বর্য, অমিতাভ এবং অভিষেক যখন ফের একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেতে শুরু করেন, তখন এই গুঞ্জন থেমে যায়।