করোনা কালে দীর্ঘ সময় লকডাউন হয়েছিল গোটা দেশ। স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল কাজ-কারবার। তেমনি করোনায় লকডাউনের ছায়া পড়েছিল টেলি পাড়াতেও। সেই সময় টেলি তারকাদের নিজের গালেই নিজেকে তুলি টানতে হত। অর্থাৎ নিজের মেকআপ নিজেদের করতে হত তাঁদের। এমত সময় মহাবিপদে পড়েছিলেন ‘রানি রাসমণি’র ভূপালচন্দ্র। তিনি তো শুধু ভূপালচন্দ্র নন, ‘মিঠাই’-এর সন্দীপ-ও বটে। এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্র! দম ফেলার সময় কই অভিনেতা বিশ্বাবসু বিশ্বাসের। ধারাবাহিকে এক চরিত্র থেকে অন্য ধারাবাহিকে আরেক চরিত্র, চরিত্রবদল মানেই চেহারারও বদল। তেমনি মেকআপও করতে হয়। জানা যায়, লকডাউনের সময়ে জি বাংলায় তারকাদের নিজেদেরই মেকআপ করতে হত। সেই সময় অভিনেতা বিশ্বাবসু বিশ্বাস পড়েছিলেন মহা বিপদে। তিনি একা একা করতে পারতেন না মেকআপ। অগত্যা নিতে হত সাহায্য। সেই সময় তাঁকে মেকআপের শিক্ষা দেন, ধারাবাহিকে তাঁর ‘দিদা’ অর্থাৎ রানিমা দিতিপ্রিয়া রায়। এসব ব্যাপারে কোনও জ্ঞানই ছিল না বিশ্বাবসুর৷ তখন দিতিপ্রিয়া রায় ভিডিয়ো কলে তাঁর ক্লাস নেয়। ধরে ধরে করতে শেখায় মেকআপ। দিদা আর নাতির খুনসুটির সম্পর্ক উঠে আসে তাঁর সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইলেও। ‘আফটার মেকআপ’-এর ছবি আপলোড করেছিলেন বিশ্বাবসু। সঙ্গে কোলাজে রয়েছেন দিতিপ্রিয়া। নতুন চরিত্র নিয়ে ব্যস্ত বিশ্বাবসু। ‘মিঠাই’ পরিবারের ছোট ছেলে সন্দীপের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। দিতিপ্রিয়ার শিক্ষায় খুব সহজের তুলির টানে একা একা রেডি হয়ে যাচ্ছেন চরিত্র সাজে।