গত বছর অগস্ট মাসে আরজি করের খুন ও ধর্ষণের সেই নারকীয় ঘটনায়, যে কয়েকজন তারকা প্রথম এগিয়ে এসে সোচ্চার হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। রাতের পর রাত তাঁকে কলকাতার রাস্তায় পথ দখলে দেখা যায়। দিনে রোদ, ঘাম উপেক্ষা করে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর পুজো আসতেই বিপত্তি। পুজো-তে মুক্তি পাওয়া সিনেমা টেক্কা প্রচার করা শুরু করতেই, রে রে তেড়েআসতে শুরু করেন নেটিজেনরা। এমনকী, স্বস্তিকার আরজিকর আন্দোলন, শাসকদলের বিরুদ্ধে করা তাঁর মন্তব্য নিয়ে রোষ তৈরি হয় খোদ টিমের মধ্যেও।
ঘরে-বাইরের এই যৌথ চাপে পড়ে, হঠাৎই আরজি কর নিয়ে পোস্ট করা বন্ধ করে দেন তিনি। বলা ভালো, পুজোর পর থেকে এই প্রসঙ্গ সেভাবে আসেনি স্বস্তিকার সোশ্যাল মিডিয়াতে। এমনকী, আদালত সঞ্জয় রাইকে দোষী ঘোষণা, তাঁকে যাবজ্জীবনেওচুপ অভিনেত্রী। তবে এবার এক নেটিজেন আরজি কর নির্যাতিতার নাম নিয়ে বিঁধতেই, খুললেন মুখ।
রবিবার একটি সেলফি শেয়ার করেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে লেখেন, ‘শুটিং এর ফাঁকে-ফোকরে’। কপালে একটা লাল টিম। গায়ে সুতির শাড়ি। হালকা এলোমেলো চুল, গলায় একটি সোনার লম্বা বল চেইন। সেখানেই এক জনৈক স্বস্তিকাকে উদ্দেশ্য করেমন্তব্য করেন, ‘অভয়ার জন্য এবার আন্দোলনে নামুন’। আর ব্যাপারটা চোখে পড়ে মোটেও এড়িয়ে গেলেন না স্বস্তিকা। এর আগেও তাঁকে ট্রোলে জবাব দিতে গিয়েছে চাঁচাছোলা ভাবে।
আরও পড়ুন: সইফকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য! এবার হাসপাতালে ভর্তি উর্বশী রাওতেলার মা, কী হয়েছে?
জবাবে অভিনেত্রী লিখলেন, ‘আপনি কবে কোথায় নামছেন জানাবেন। চলে যাব।’

কাজের সূত্রে, স্বস্তিকাকে শেষ দেখা গিয়েছে হইচইয়ের সিরিজ নিখোঁজ ২-তে। যেখানে দেখানো হয়েছে, অভিনেত্রীর চরিত্র বৃন্দার একমাত্র মেয়ে হারিয়ে গিয়েছে। আর তাঁকে খুজতে মরিয়া তিনি। এই সিরিজে আরও কাজ করেছেন টোটা রায়চৌধুরী। প্রথম সিজনের মতো, দ্বিতীয়টিও সুপার হিট।
আরও পড়ুন: কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে মহাকুম্ভে রেমো ডি'সুজা! পবিত্র স্নান করলেন প্রয়াগরাজে
২০২৪ সালের পুজোয়, টেক্কা মুক্তির আগে কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দেবকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যে তাঁর টিমেরই (টেক্কা) লোকেরা উৎসব বয়কটের ডাক দিচ্ছে, তিনি সেটাকে কীভাবে দেখছেন। যা নিয়ে তৃণমূল সাংসদের জবাব ছিল, ‘আমি ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনাকে সম্মান করি। প্রত্যেক মানুষের আইডলজি আলাদা। ঘুম থেকে উঠে সে কী ভাবছে বা কী করছে তাতে আমার আগ্রহ নেই। বরং প্রযোজক হিসেবে সে শ্যুটে এসে কী করছে, নিজের দায়িত্ব পালন করছে কি না, তা দেখা আমার দায়িত্ব। আমি নাম নিয়েই বলছি, স্বস্তিকা বা সৃজিত, তাদের আমি যে দায়িত্ব দিয়েছিলাম, তাতে অসাধারণ কাজ করেছে।’
সঙ্গে দেব আরও বলেছিলেন, ‘এবার উৎসবে ফিরছি কি ফিরছি না, এটা যার যার পছন্দ। এটা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমার কেন, কারোর বলা উচিত নয়। তবে হ্যাঁ প্রযোজক হিসেবে বলব, তুমি সকাল থেকে রাত অবধি কী করছ আমার দেখার দরকার নেই। তবে হ্যাঁ প্রোমোশনে যখন আসবে, সেই কয়েকটা ঘণ্টা, এমন কোনো মন্তব্য রেখো না যেখানে আমার ছবির ক্ষতি হয়।’