'বাহুবলী' পরিচালক এস এস রাজামৌলির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তাঁর কাছের বন্ধু। রাজামৌলির বন্ধু, প্রযোজক উপ্পলাপতি শ্রীনিবাস রাও নিজের ‘সুইসাইড নোট’(অভিযোগকারীর দাবি অনুযায়ী)-এ পরিচালকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। অভিযোগ, এক মহিলার জন্য়ই নাকি এমন করেছেন খ্যাতনামা পরিচালক। নিজের X (পূর্বের টুইটার) ভিডিয়ো এবং পুরনো কিছু চিঠি পোস্ট করে এই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন শ্রীনিবাস রাও।
প্রযোজক উপ্পলাপতি শ্রীনিবাস রাও যিনি কিনা রাজামৌলির বিরুদ্ধে হেনস্থা ও নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন, তিনি ১৯৯০-এর দশক থেকে নিজেকে পরিচালকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে দাবি করেছেন। ঠিক কী অভিযোগ এনেছেন তিনি?
আরও পড়ুন-সময়টা ভালো যাচ্ছে না! বাবা ICU-তে, মহাকুম্ভ থেকে তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরলেন নীলাঞ্জনা
উপ্পলাপতি শ্রীনিবাস রাও-এর অভিযোগ
শ্রীনিবাস রাও একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সঙ্গে রয়েছে একটি চিঠিও। যেগুলি তিনি তামিলনাড়ুর মেট্টুর থানাতেও পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর সেই চিঠিগুলিই উঠে আসে দক্ষিণের বিগ টিভি-র হাতে। ভিডিওতে শ্রীনিবাস রাও বলেন, ‘ভারতের এক নম্বর পরিচালক এসএস রাজামৌলি ও রামা রাজামৌলি আমার আত্মহত্যার কারণ। আপনারা হয় ভাবতে পারেন এটা আমি নিজের প্রচারের করছি, তবে এটাই আমার শেষ চিঠি। এমএম এমএম কীরাবাণী থেকে চন্দ্রশেখর ইয়েলেতি এবং হানু রাঘবপুদি প্রত্যেকেই জানেন যে আমি বছরের পর বছর ধরে রাজামৌলির কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলাম। আমি কখনও ভাবিনি যে কোনও মহিলা আমাদের মধ্যে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
শ্রীনিবাস ভিডিওতে দাবি করেছেন যে রাজামৌলি এবং তাঁর এক মহিলার সঙ্গে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। যেটি খানিকটা দক্ষিণী পরিচালক সুকুমারের ছবি আর্য ২ এর মতো।
শ্রীনিবাস রাও-এর কথায়, ‘তিনি (রাজামৌলি) আমাকে ওই মহিলাকে ভুলে যেতে বলেছিলেন। আমি প্রথমে রাজি না হলেও পরে সেটাই করি। তবে রাজামৌলি ভেবেছিলেন, আমি হয়ত একথা লোকজনকে বলে দেব। আমরা বচসায় জড়িয়ে পড়ি। আর এরপরই উনি আমার প্রতি নির্যাতন শুরু করেন। আমরা ইয়ামাডোঙ্গা (২০০৭) পর্যন্ত সঙ্গে কাজ করেছি, তবে এরপরেই উনি আমার জীবন নষ্ট করে দেন। উনি আমাকে উপর মানসিক নির্যাতন করেছেন।'
পুলিশকে লাই ডিটেক্টর টেস্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘আমার বয়স ৫৫, আর রাজামৌলির কারণেই আমি এখনও একা জীবনযাপন করছি। তবে আমি আর এই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না।’