চার দশকে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পাঞ্জাব। ভাসছে রাজ্যের ২৩টি জেলা। মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশ পার করেছে। রাজ্যজুড়ে মৃত্যুমিছিল, হাহাকার, আর আর্তনাদ। বন্যায় হাজার হাজার পরিবারের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
কৃষকরা শুধু চাষজমি হারাননি, ফসল তলিয়ে গিয়েছে। মিলছে না পর্যাপ্ত খাদ্য, পরিশুদ্ধ জল, ওষুধ। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তারকারা। পিছিয়ে থাকলেন না বলিউডের কিং খানও। এই কঠিন সময়ে এগিয়ে এসেছেন বলিউডের বাদশা। তাঁর সংগঠন মীর ফাউন্ডেশন অমৃতসর, পাতিয়ালা, ফাজিলকা এবং ফিরোজপুর জেলা থেকে প্রায় ১৫০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দত্তক নিয়েছে এবং তাঁদের সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করার ঘোষণা করেছে।
মীর ফাউন্ডেশন স্থানীয় এনজিও ভয়েস অফ অমৃতসরের সহযোগিতায় বন্যা দুর্গত পরিবারগুলির মধ্যে ওষুধ, স্যানিটেশন সরঞ্জাম, খাদ্য সামগ্রী, মশারি, ত্রিপল, বিছানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের কাজ শুরু করেছে। শাহরুখ খান ছাড়াও সলমন খান, সোনু সুদ, অক্ষয় কুমার, আলিয়া ভাট এবং দিলজিৎ দোসাঞ্জের মতো তারকারাও পাঞ্জাবের বন্যা ত্রাণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। সলমন খানের সংগঠন 'বিয়িং হিউম্যান' পাঁচটি উদ্ধারকারী নৌকা পাঠিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোকে দত্তক নেওয়ার ঘোষণা করেছে। সোনু সুদ তাঁর পরিবারকে নিয়ে হাজার হাজার গ্রামে ত্রাণ বিতরণ করছেন।
মীর ফাউন্ডেশন কি?
শাহরুখ খানের মীর ফাউন্ডেশন মূলত অ্যাসিড আক্রমণের শিকার নারীদের সমাজের মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত করার কাজ চালায় এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য যত্নশীল এই সংগঠন। শাহরুখের বাবার (মীর তেজ মহম্মদ খান) নামে তৈরি এই সংগঠন। কোভিড মহামারির সময়ও, মীর ফাউন্ডেশন অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ, হাসপাতালের জন্য বেড, রেশন এবং এমনকি অর্থ সাহায্যের হাতও বাড়িয়েছিল। এখন আবারও, এটি পাঞ্জাবের দুর্গত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে।
১৯৮৮ সালের পর থেকে পাঞ্জাবে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা এটি। রাজ্যের ২৩টি জেলার ৩.৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বন্যায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শতদ্রু, বিয়াস এবং রবি নদী প্লাবিত হওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে, যাতে ১,৬৫৫টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।