ঘোষণা আগেই হয়ে গিয়েছিল। গতকাল অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল বিনোদন দুনিয়ার একটি স্মরণীয় দিন। প্রথমবার জাতীয় পুরস্কারের সম্মানিত হন শাহরুখ খান এবং রানি মুখোপাধ্যায়। জাতীয় পুরস্কার পান বিক্রান্ত মাসে। তবে এই বছর বাংলা ছবিকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন অর্জুন দত্ত।
অর্জুন দত্ত পরিচালিত ‘ডিপ ফ্রিজ’ সেরা বাংলা ছবির সম্মানে সম্মানিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির বিকাশ ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ছবির পরিচালক অর্জুন দত্ত এবং প্রযোজক কৃষ্ণ কয়ালের হাতে সম্মান তুলে দেন। সেই বিশেষ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন পরিচালক।
আরও পড়ুন: বিতাড়িত নন, নিজেই ‘কল্কি’ ছেড়েছেন দীপিকা, নেপথ্যে রয়েছে কোন কারণ?
আরও পড়ুন: রামকমলের ‘বিনোদিনী’ এবার বোস্টনে, উচ্ছ্বসিত পরিচালক দিলেন বড় খবর
রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার পাওয়ার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্জুন লেখেন, ‘অবশেষে দিল্লিতে পৌঁছে মাননীয়া রাষ্ট্রপতির হাত থেকে আমার জাতীয় পুরস্কার নেওয়ার মুহূর্ত। এই দিনটা সত্যিই খুবই স্পেশাল একটা দিন ছিল। ভীষণ নার্ভাস ছিলাম আমি। নিজেকে শক্ত করে ধরে রাখাই ছিল বড় কথা।’
অর্জুন লেখেন, ‘তবে অবশেষে নিজেকে শান্ত করে রাষ্ট্রপতি হাত থেকে পুরস্কার নিলাম। আমার গোটা দলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য। আমি এখনও নিজেকে চিমটি কেটে দেখছি যে সত্যি এটা আমার সঙ্গে হয়েছে কিনা। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। কত বড় বড় শিল্পীদের সঙ্গে একই মঞ্চে এই পুরস্কার পাওয়া সত্যিই অনেক সম্মানের।’
অর্জুন আরও লেখেন, ‘আমার বাবা যদি আমার সঙ্গে থাকতে পারতেন তাহলে সত্যি খুব ভালো লাগতো কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারণে আজ ঝুঁকি নিইনি। মা আর দিদা, আমি জানি তোমরা দুজনেই ওপর থেকে আমাকে দেখছো এবং উৎসাহিত করছ। ধন্যবাদ জানাই জুড়িদের, যারা এই ছবিটিকে বেছে নিয়েছেন সেরা ছবি হিসেবে।’
আরও পড়ুন: বেড়াজাল টপকে বাংলাদেশে সম্মানিত হল ‘পদাতিক’, ছবি ভাগ করে নিলেন সৃজিত
আরও পড়ুন: প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গ, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা
প্রসঙ্গত, এর আগেও ‘অব্যক্ত’, ‘গুলদস্তা’ এবং ‘শ্রীমতী’-র মতো ছবি তৈরি করে বাঙালি দর্শককে মুগ্ধ করেছেন অর্জুন। এবার চতুর্থ সিনেমার হাত ধরেই জাতীয় সম্মান ঘরে নিয়ে এলেন তিনি। আবির চট্টোপাধ্যায় এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী অভিনীত এই ছবিটি মূলত এই ছবিটি এক প্রাক্তন দম্পতির বিচ্ছেদের পরের অভিজ্ঞতার গল্প নিয়ে তৈরি করা হয়। সিনেমার এই সর্বভারতীয় স্তরের সম্মান নিঃসন্দেহে বাংলা ছবির কাছে একটি গর্বের বিষয়।