জওয়ান ছবিটা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। এখনও এটি রিলিজ করতে প্রায় মাস খানেক বাকি তবুও এখনই যেন শাহরুখ ম্যাজিকে মজে ভক্তরা। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাঁর পরবর্তী ছবির। ২০২৩ সালে এটি শাহরুখের দ্বিতীয় ছবি হতে চলেছে। তাঁর প্রথম ছবি পাঠান বক্স অফিসে রীতিমত সুনামি তুলেছিল।
দীর্ঘ চার বছর পর ফিরে পাঠান ছবি দিয়ে ম্যাজিক তৈরি করেছিলেন শাহরুখ খান। সমস্ত হিসেব নিকেষ পাল্টে এটা কেবল বলিউড না শাহরুখের কেরিয়ারের সব থেকে বেশি ব্যবসা করা ছবির তকমা পায়। এখন সবার লক্ষ্য জওয়ানের দিকে। অনুমান করা হচ্ছে এই ছবিটিও বক্স অফিসে ভালোই সাড়া পাবে। তবে জানেন কি জওয়ান ছবিটা শাহরুখের কেরিয়ারের সব থেকে বিগ বাজেট ছবি?
হ্যাঁ, একদমই তাই। একটি পোর্টালের রিপোর্ট অনুযায়ী জওয়ান ছবিটির বাজেট ৩০০ কোটি! ভক্তরা যাতে সিনেমা হলে গিয়ে সেরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, সেরা গল্প এবং ভিজ্যুয়াল এর সাক্ষী থাকতে পারে তার জন্য কিন্তু মোটেই কার্পণ্য করেননি শাহরুখ খান। দক্ষিণী পরিচালক অ্যাটলি পরিচালিত এই ছবিটি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে বক্স অফিসে।
আরও পড়ুন: 'বিনা পারিশ্রমিকেও কাজ করতে রাজি ছিলাম', ‘জওয়ান’ নিয়ে বললেন বিজয়
সূত্রের খবর অনুযায়ী শাহরুখ খান জানতেন পাঠান মানুষের প্রত্যাশার লেভেল বাড়িতে দেবে তাই তিনি জওয়ানকে আরও বড় মাপে, বড় আকারে আনতে চেয়েছিলেন। সিদ্ধার্থ আনন্দের তুলনায় আরও ভালো ডিরেক্টরিয়াল ছবি উপহার দিতে চান। বড় বড় সেটআপেই এই ছবির সমস্ত অ্যাকশন দৃশ্য শুট করা হয়েছে। পাঠান ছবির ক্ষেত্রে যেমন অনেক সময়ই গ্রিন স্ক্রিন ব্যবহার করে কাজ চালানো হয়েছে এই ছবির ক্ষেত্রে সমস্ত সেট বাস্তবে তৈরি করে সেখানে শট দেওয়া হয়েছে যাতে রিয়েলিস্টিক ফিল পাওয়া যায়।
পাঠান ছবিটির বাজেট ছিল ২৫০ কোটি, এর আগে তৈরি হওয়া শাহরুখের জিরোর বাজেট ছিল ২০০ কোটি। দিলওয়ালে এবং রাওয়ান বানাতে যথাক্রমে খরচ হয় ১৩৫ কোটি এবং ১৩০ কোটি। রইজের বাজেট ছিল ৯৫ কোটি, আর হ্যাপি নিউ ইয়ারের বাজেট ১৫০ কোটি ছিল। এবার সেসব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে জওয়ান।
এই ছবিতে শাহরুখ ছাড়াও আছেন নয়নতারা, বিজয় সেতুপতি। দীপিকা পাড়ুকোনকে দেখা যাবে ক্যামিও চরিত্রে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন সানিয়া মালহোত্রা, প্রিয়মণি, প্রমুখ। জওয়ান ছবির পর শাহরুখকে আবার রাজকুমার হিরানির ডাঙ্কিতে দেখা যাবে।