১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জি বাংলার গেম শো দিদি নম্বর ১-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সবাইকে অবাক করে, এতগুলো বছর ধরে একটুও যেন বদলাননি। বয়স যেন থমকে গিয়েছে টিভির ‘দিদি’র। ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসে জন্ম। বয়স এখন ৫২ বছর। তা কী খান রচনা, তা এবার একদম ব্যাগের থেকে টেনে বার করলেন বাংলা টিভির আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন।
সন্দীপ্তা আর রচনার দিদি নম্বর১-এর একটা ভিডিয়ো বেশ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সন্দীপ্তার দাবি তিনি রচনার ব্যাগ খুলে দেখবেন। কারণ জানতে চান এমন কী খান রচনা, যাতে বয়স আর বাড়ছেই না।
সন্দীপ্তা বলছেন, ‘আমি তোমার ব্যাগ দেখতে চাই। তুমি নিজেকে এত সুন্দর করে মেইনটেন করো সবসময়। আমি সিওর ওই ব্যাগের মধ্যেই সব সিক্রেট আছে।’ এরপর দেখা যায় সেটের একজন নিয়ে আসে রচনার ব্যাগ।
এরপর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাগের থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক কৌট। তাতে নানারকমের খাবার। চিজ থেকে শুরু করে খেজুর। আবার বেরিয়ে আসে এক কৌট হজমি। রচনা একবাক্যে মেনে নেন যে, খাবার নিয়ে তিনি খুবই সচেতন। এর আগেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, সন্ধে ৭টার মধ্যেই ডিনার সেরে নেন। রাত ৯টায় শুতে চলে যান বিছানায়।
ব্যাগে কী আছে দেখানোর সময়, রচনা ব্যাগ থেকে বের করেন তাঁর ওয়ালেট। সেখানে রাখা বাবার ছবিটিও দেখান। বলেন, টাকা বা কার্ড থাকুক বা না থাকুক, এই ছবিটি সবসময় রাখেন ব্যাগে। ল্যামিনেশন করে রেখেছেন ছবিটা। যেন কোনোভাবেই তা নষ্ট না হয়। ২০২২ সালে বাবাকে হারান রচনা। তৃতীয় স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর, বাবার কাছেই ছেলেকে নিয়ে ছিলেন দীর্ঘসময়। যদিও বি্ধানসভা ভোটে রচনা প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সময় থেকে, ফের পাশেপাশে দেখা গিয়েছিল প্রবালকে। ছেলের কথা মাথায় রেখে, দুজনে আলাদা থাকলেও ডিভোর্স নেননি। তাই যখন রাজনীতির শক্ত মাটিতে পথ চলা শুরু করেন রচনা, তখন শক্ত করে হাতটা ধরেন প্রবাল। ছায়াসঙ্গীর মতো নমিনেশন ফাইল করা থেকে শুরু করে, ভোটে জেতা, সবকিছুতেই সঙ্গ দেন স্ত্রীকে।