বলিউউ সুপারস্টার সলমন খানের সময়টা বক্স অফিসে এক্কেবারে ভালো যাচ্ছে না। একমাত্র টাইগার ৩ বাদ দিলে গত অর্ধ দশকে সলমনের হিট ছবি বলতে দাবাং ৩। রাধে, কিসি কা ভাই কিসি কা জান, অন্তিম থেকে ভাইজানের শেষ রিলিজ সিকান্দার হলে সেই অর্থে দর্শক টানত পারেনি।
সিকান্দর পরিচালক এ আর মুরুগাদোস দাবি করেছিলেন সুপারস্টার সলমন নাকি কেবল বিকেল ৫.৩০ টায় সেটে আসবেন যখন ক্রুরা সকাল থেকে অপেক্ষারত থাকে। তবে তার সহ-অভিনেতা অয়ন লাল শোনালেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ছবিতে অঞ্জিনী ধাওয়ানের প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করা অয়ন বলেন, এই দাবি সম্পূর্ণ ভুয়ো। পরিবর্তে, তিনি প্রকাশ করেছিলেন যে অভিনেতা সর্বদা একটি ফুড ট্রাক নিয়ে ভ্রমণ করেন, ছবির সব কলাকুশলী যাতে তাঁর মতো একই খাবার খায় তা নিশ্চিত করেন ভাইজান। আয়ান স্মরণ করেছেন যে তিনি প্রায়শই বিকেল ৩ টার মধ্যে সেটে পৌঁছতেন তবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শুটিংয়ের জন্য ডাকা হত না এবং সলমন সর্বদা সময়েই উপস্থিত হতেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে বেশিরভাগ বিলম্ব সেট তৈরির জন্য, যা প্রয়োজনীয়। সলমন সবাইকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করান এমন দাবি নস্য়াৎ করেন অয়ন। তিনি বলেছেন যে সলমন খান কখনও সেটে দেরি করে আসেন না। তাঁর কথায়, ‘তিনি কখনও ৮ ঘন্টা দেরি করে আসতেন না। আমি ১২-১৩ দিনের জন্য সেটে কাজ করেছি এবং এটি কখনও ঘটেনি। এবং যদি ৫-১০ মিনিট বা ১-২ ঘন্টা এখানে এবং সেখানে থাকে তবে আপনাকে বুঝতে হবে’। উদাহরণস্বরূপ, পাঞ্জাবের বন্যা, যা ঘটেছে তা খুব দুঃখজনক, সলমন স্যার পাঞ্জাবের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য অনুদান দিয়েছেন। তাই আপনাকে বুঝতে হবে যে তার একমাত্র কাজ জনসাধারণকে বিনোদন দেওয়া বা সুপারস্টার হওয়া নয়। তিনি সমাজের মানুষ এবং দেশের সুপারস্টার, মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল। কেবল মানুষকে বিনোদন দেওয়া ছাড়াও তার আরও অনেক কিছু করার আছে। সুতরাং যদি তিনি ৫-১০ মিনিট দেরি করে বা ১-২ ঘন্টা দেরিতে পৌঁছায় তবে এটি কিছুই নয়'।
অয়নের চোখে সলমন 'ঈশ্বর প্রেরিত দেবদূত' । তিনি আরও যোগ করেছেন, 'সিকান্দার ছিল ৩০০ মানুষের সেট এবং সলমন স্যারের একটি বিয়িং স্ট্রঙ্গার ফুড ট্রাক রয়েছে যা স্যার যেখানেই যান সঙ্গে নেন। সেই ফুড ট্রাক থেকে নাকি ক্রুরা যখন খুশি খাবার নিতে পারে। অয়ন নিজের ভোর ৩টেয় ক্ষুধার্ত বোধ করায় খাবারের খোঁজে সেখানেই পৌঁছেছিলেন। মাটন বিরিয়ানি, চিকেনের আইটেম এবং নিরামিষভোজীদের জন্য খাবার, সবকিছুর ব্যবস্থা রাখেন ভাইজান।
ভালাইপেচু ভয়েসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আর মুরুগাদোস সলমন খানের মতো বড় তারকার সঙ্গে কাজ করার চ্যালেঞ্জ বর্ণনা করেছেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে যদিও সকালে প্রোডাকশন শুরু হলেও সলমন রাত ৮টায় সেটে পৌঁছোতেন, শুটিং রাত ২ টা পর্যন্ত চলত। তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে বেশিরভাগ দৃশ্য সবুজ পর্দায় চিত্রায়িত হয়েছিল, সেগুলিকে দিনের বেলা শটের মতো দেখাতে বিস্তৃত ভিএফএক্সের প্রয়োজন হয়েছিল।
সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রযোজিত সিকান্দারে সলমনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন রশ্মিকা মন্দনা, কাজল আগরওয়াল, শরমন জোশী, সত্যরাজ, যতীন সারনা, সঞ্জয় কাপুর, প্রতীক বব্বর এবং কিশোর। সলমনের উপস্থিতি সত্ত্বেও ২০০ কোটি বাজেটের এই ছবি বক্স অফিসে মাত্র ১৮৩ কোটি টাকা আয় করে।
অপূর্ব লাখিয়া পরিচালিত ‘ব্যাটল অব গালওয়ান’-এর শ্যুটিংয়ে আপতত ব্যস্ত সলমন খান।