আজ রাখি। সব ভাই-বোনেরাই আজ একে-অপরকে রাখি পরিয়ে নিজেদের মতো করে সেলিব্রেট করছেন। করছেন। তবে এবার এই দিনে হাতটা খালিই থেকে গেল অভিনেতা-গায়ক সাহেব চট্টোপাধ্যায়। দিদি-বোন কেউই আর নেই, তবে তাঁদের উদ্দেশ্যে কিছু স্মৃতি ভাগ করে নিয়েই তাই রাখি উদযাপন করলেন সাহেব।
এই সময়-কে তাই সাহেব বলেন, ‘১ বছরের মাথায় আমার বোন-দিদি দুই-ই চলে গেল। প্রথম ২০২৩-এর ১২ সেপ্টেম্বর বোন পিয়াসী চট্টোপাধ্যায়কে হারালাম। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল। ও দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিল মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। ওর তখন বাচ্চা হয়েছিল। ৯ মাসের বাচ্চাকে নিয়েই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। ৩দিনের মাথাতে ও চলে গেল ৪৩ বছর বয়সে। ওর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারিনি।’
সাহেব আরও বলেন, এরপর ২০২৪-এর ৪ জুলাই তাঁর দিদি অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায় চলে যায়। তিনি পরিবারে সকলের বড়দি। তাঁর মৃত্যু সাহেবের কাছে শকিং। দিদির বয়স হয়েছিল ৫২। ওঁর ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আমার এই দুই দিদিই তাঁর পাঁজরের টুকরো বলে জানান সাহেব চট্টোপাধ্যায়। তাই এবার রাখিটা যে তাঁর কাছে ভীষণ কঠিন, সেকথাই উঠে এল অভিনেতার কথায়।
সাহেব জানান, দিদি তাঁর কাছে মায়ের মতোই ছিলেন। একদিকে তিনি ছিলেন সাহেবের দিদি, আবার সম্পর্কে তিনিই আবার বউদি। কিন্তু কীভাবে? এপ্রসঙ্গে সাহেব বলেন, অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায়, তাঁর মেজমাসির মেয়ে। আবার তাঁরই সেজ জ্যাঠার ছেলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে। তাই অনিন্দিতা ছিলেন সাহেবের দিদি ও বউদি দুটোই, তবে তাঁকে তিনি মায়ের মতোই দেখতেন অভিনেতা।
সাহেব বলেন, ‘ওঁরা রাখিতে আমায় চিঠি লিখত। ভয়েস নোটগুলো রেকর্ড করা আছে ফোনে। শুনলে মনে হয় আমার চারপাশেই ঘুর ঘুর করছে।’ সাহেব জানান, তিনি তাঁর আরও এক দিদিকে সম্প্রতি হারিয়েছেন, নাম মৌ রায়চৌধুরী। যদিও তিনি রক্তের সম্পর্কের কেউ নন। তবে তাঁকেও দিদিভাই বলে ডাকতেন সাহেব।
তাই এবার রাখি বন্ধন দিদি-বোনদের ছাড়া খালি হাতেই কাটছে সাহেবের।