আর জি কর কাণ্ডের বীভৎসতার ছবিটা যত স্পষ্ট হচ্ছে ততই শিউরে উঠছে গোটা দেশ। ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি শেষে সামন্য একটু বিশ্রাম নিতে গিয়ে হাসপাতালের অন্দরেই নারকীয়ভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয় চেস্ট ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে। এই ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটেছে, প্রতিবাদের সুর চড়াচ্ছেন আম জনতা থেকে তারকারা। আরও পড়ুন-আরজি কর কাণ্ডে মোমবাতি হাতে রাস্তায় প্রসেনজিৎ, সঙ্গী অরিন্দম শীলরা
আয়ুষ্মান খুরানা থেকে আলিয়া-অনুষ্কা-তামান্নারা আরজি করের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। টলিপাড়ার অনেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীও তালিকায় রয়েছেন। কিন্তু দু-দিন আগে পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিনেত্রী সাংসদরা। সায়নী ঘোষ, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, শতাব্দী রায়দের ‘লাপাতা লেডিজ’ বলে ট্রোল করতে ছাড়েনি নেটিজেনরা। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন ভিডিয়ো বার্তা সামনে আনেন রচনা।
হুগলির সাংসদ আরজি করের নির্যাতিতার সুবিচার দাবি করে রীতিমতো ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেন। রচনার চোখের জল ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা। ‘দিদি নম্বর ১’-এর ভিডিয়ো নিয়ে সোশ্যালে রীতিমতো হাসিঠাট্টি চলছে। এবার নাম না করেই রচনার চোখের জলকে ‘কুমিরের কান্না’ বলে কটাক্ষ করলেন সঙ্গীতশিল্পী সাহানা বাজপেয়ী।
আরজি করের ঘটনা নিয়ে শুরু থেকেই সরব সাহানা। এদিন ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘কুম্ভীরাশ্রু দেখিতে দেখিতে এই প্রশ্নটাই মাথাচাড়া দিতেছে অনেকের মতোই আমার মনে: তা স্মাজ-প্রুফ কাজলটির ব্র্যান্ডটি যদি বলিতেন খুবই উপকৃত হইতাম’। আসলে রচনা যখন ভিডিয়োটি করেন তাঁর চোখে মোটা করে কাজল টানা ছিল, যা মোটেই ঘেঁটে যায়নি!
এরপর সাহানা স্পষ্টতই বুঝিয়ে দেন সেই নামী অভিনেত্রী তথা সন্ধ্যাকালীন অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকার সঙ্গে তাঁর ফারাক। গায়িকা লেখেন, ‘আমাদের আবার নির্লজ্জ নেকুপুসু লুতুপুতু অতি দুর্বল-অভিনয়জাত নাকি-কান্না কান্দিতেও হয় না। দুপুর গড়াইতে না গড়াইতে এমনিই ঘামে লেপটিয়া যায়। টিভিতে প্রাত্যহিক সান্ধ্যকালীন সুড়সুড়ি দিতে না হইলেও আমাদের’ও ‘মেকাপের বুকিং' দিয়ে ‘রাতের পথনাটিকা'য় সামিল হইতে হয় ‘সেলফিখোর নেশাড়ুদের' ন্যায়।'
গোটা পোস্টে একবার রচনার নামের উল্লেখ নেই ঠিকই, কিন্তু কারুর বুঝতে অসুবিধা হয়নি সাহানার নিশানায় কে। কমেন্ট বক্সেও উপচে পড়ছে হাসির রোল। একজন লেখেন, ‘আমি কাল এক বিশ্ব ঢঙি দিদির কাজল চোখে জল দেখলাম....ভাবলাম চিমনির ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় এতো কষ্ট পাচ্ছে।’ আরেকজন লেখেন, ‘দাঁড়ান, এখন বলবেন না, আগে বলি, এবার বলো!’