অস্কারের দৌড়ে জায়গা করে নিয়েছে ঋতাভরী চক্রবর্তী অভিনীত ছবি ‘পাপা বুকা’, এই খবরটি কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন অভিনেত্রী নিজেই। এবার প্রকাশ্যে এল ছবির ট্রেলার। পাপুয়া নিউ গিনির আদিবাসী ব্যক্তিদের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে এই ট্রেলারে।
ট্রেলার প্রসঙ্গে
ট্রেলারের শুরুতেই সে পাওয়া যাচ্ছে, ঋতাভরী একটি আর্ট গ্যালারিতে গিয়ে বিভিন্ন রকম মুখোশ এবং ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। এরপরেই একটি বিশাল বড় সমাধিস্থলের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মৃতদের কবর দেওয়া হয়েছিল। ৩৮২৪ জুন যোদ্ধাদের সমাধিস্থল দেখে ভাবুক হয়ে যান অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: বন্ধু ঋতুর জন্মদিনে আবেগপ্রবণ প্রসেনজিৎ, পরিচালকের স্মরণে কী বললেন রাম কমল?
আরও পড়ুন: 'খুব হিংসে হয়েছিল...', কোন সিনেমায় অভিনয় না করার আক্ষেপ রয়েছে দেবের?
এরপরেই রাস্তার পাশে বসে থাকতে দেখা যায় এক বৃদ্ধকে, যিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এই সিনেমায়। পাপুয়া নিউগিনির আদিবাসিদের জীবন নিয়ে বহু অজানা রহস্য সামনে নিয়ে আসবেন এই বৃদ্ধ। একটি প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের জীবন কীভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়।
একটা গ্রাম, সেখানকার মানুষরা ভীষণ শান্তিতে বসবাস করতে ভালোবাসতেন। ইংরেজদের অত্যাচারে পাল্টে যায় সেই আদিবাসীদের জীবন। শহুরে জীবনের থেকে অনেক দূরে এই মানুষগুলির কথাই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে সিনেমায়।
প্রসঙ্গত, বিজু কুমার দামোদরন পরিচালিত এই সিনেমায় ভারত এবং নিউগিরির মধ্যে সম্পর্কের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমায় ঋতাভরী ছাড়া অভিনয় করেছেন প্রকাশ বেরে এবং সাইন রোবোরো। সহ-অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন জন সাইক, বারবারা আনাতু, জ্যাকব ওবুরি, স্যান্ড্রা ডাউমা এবং ম্যাক্স মাসো পিপিসি।
ছবিতে রয়েছেন তিনবারের গ্র্যামি বিজয়ী রিকি কেজ, চিত্রগ্রাহক ইয়েধু রাধাকৃষ্ণণ এবং সহ-চিত্রনাট্যকার ড্যানিয়েল জোনারধাগট। ছবিতে পিসিন, মালায়ালি, বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'বহুদিন হল নিখোঁজ...', জন্মদিনে কাকে হারিয়ে চিন্তিত শ্রীলেখা?
আরও পড়ুন: শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবি’-র ছায়ায় সিনেমা নিয়ে আসছেন সৃজিত, প্রকাশ্যে মুক্তির তারিখ
প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ছোট্ট দেশ পাপুয়া নিউগিনি, সেই দেশের সিনেমা এই প্রথম অস্কারের মঞ্চে নমিনেটেড হল। যদিও এই সম্মান বাংলারও কারণ এই সিনেমার নেপথ্যে রয়েছেন একজন বাঙালি, তিনি হলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী।