সালটা ছিল ২০১৮, এক নাইট ক্লাবে আলাপ হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচের। তারপর তাঁদের সেই প্রেম পরিণতি পায় বিয়েতে। একসময় হার্দিক ও নাতাশার একে অপরকে দেখে মনে হয়েছিল ইনিই সেই মনের মানুষ, যাঁর সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে পারবেন। যদিও ২০২০-র আগে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তাঁরা কেউ মুখ খোলেননি। তবে এত গদগদ প্রেমের পরেও ৪ বছরের মাথায় ভেঙে গিয়েছিল হার্দিক-নাতাশার সেই প্রেম। কিন্তু কেন ভাঙল এই সম্পর্ক?
হার্দিক-নাতাশা তাঁদের বিয়ে ভাঙা নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও মুখ খুলেছেন তাঁদেরই ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
হার্দিক-নাতাশার পরিচিত সেই ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, হার্দিক ভালো ক্রিকেটার হলেও তিনি নাকি মানুষ হিসাবে ভীষণই আত্মকেন্দ্রীক, খানিকটা flamboyant (ফ্ল্যামবয়েন্ট) চরিত্রের মানুষ। নিজের কথা ছাড়া আর কিছুই নাকি ভাবতে পারেন না হার্দিক। বিষয়টা নিয়ে দীর্ঘদিন মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন নাতাশা। তিনি হার্দিকের সঙ্গে বারবার সবকিছু মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করেছেন। হার্দিকের পছন্দ-অপছন্দের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে শেষপর্যন্ত নাতাশা আর সেটা পেরে ওঠেননি।
নাতাশা বুঝতে পেরেছিলেন হার্দিক ও তাঁর মধ্যে অনেক ফারাক। তবে তারপরেও নাতাশা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে একটা সময়ের পর নাতাশা আর পেরে ওঠেননি। নাতাশা বুঝতে পেরেছিলেন, এই সমস্যার কোনও শেষ নেই। সম্পর্কটা বয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই ক্লান্তিকর হয়ে উঠেছিল। আর তাই নাতাশা এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন।
হার্দিক-নাতাশার এক সন্তানও রয়েছে নাম অগস্ত্য়, যার বয়স এখন মাত্র ৪। হার্দিকের সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের পর নাতাশা সার্বিয়ায় ফিরে যাওয়ার পর ছেলেকেও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে আইনি বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই সন্তান আসার খবর দিয়েছিলেন হার্দিক-নাতাশা। এরপর সেবছরেরই জুলাইতে জন্ম হয়েছিল তাঁদের ছেলে অগস্ত্যর। সেসময় প্রায়দিনই সন্তানের ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিতেন হার্দিক-নাতাশা। এরপর ২০২৩-এ সন্তান বয়স যখন ৩, তখন তাঁরা আরও একবার বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে হিন্দু, পরে ক্রিশ্চান রীতিতে বিয়ে সারেন তাঁরা। তবে এতকিছুর পরেও শেষপর্যন্ত নিজেদের ভালোবাসার সেই বিয়ে টিকেয়ে রাখতে পারেননি হার্দিক-নাতাশা।