ছোট পর্দায় তিনি দারুণ জনপ্রিয়। বড় পর্দাতেও কাজ করেছেন একাধিক। এ হেন রাম কাপুর ৫১ বছর বয়সে এসে এক বছরে ৫৫ কেজি ওজন ঝরালেন। তাক লাগালেন তাঁর অনুরাগীদের। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে রাম জানিয়েছিলেন যে তিনি কেন প্রায় বছরখানেক ধরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পুরোপুরি গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, 'হ্যালো বন্ধুরা। সরি অনেকটা লম্বা সময়ের জন্য ইনস্টা থেকে গায়েব থাকার জন্য। নিজের উপর কাজ করছিলাম।'
সেই ছবি দেখেই বোঝা যায় যে বিপুল পরিমাণ ওজন কমিয়েছেন রাম কাপুর। জানা গিয়েছে ৫৫ কিলো ওজন কমিয়েছেন তিনি তাও এক বছরের মধ্যে। দেবনা গান্ধীর পডকাস্ট শোতে এসে রাম কাপুর তাঁর ওজন কমানোর গল্প শুনিয়েছেন। জানিয়েছেন তাঁর শরীর চর্চা এবং ডায়েটের কথাও। রাম এদিন আরও জানান কোনও স্টেরয়েড বা ওষুধ নয়, শরীর চর্চা আর খাবারের মাধ্যমেই তিনি ওজন কমিয়েছেন।
ওজন কমানোর সফরের বিষিয়ে এদিন রাম বলেন, গত ৫ বছর ধরে তিনি ওজন কমাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ' আমি যেটা করেছি সেটা হল, ৫ বছর আগে আমি প্রায় ৩০ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলি, তারপর আবার মোটা হয়ে যাই। আর তখনই বুঝি যে আমার কী করা উচিত, আর কী নয়। আমি সেই সময় রাত জেগে জেগে এক্সপার্টদের বই পড়তাম, পডকাস্ট শুনতাম। বুঝলাম এই দুনিয়ায় দুই ধরনের মানুষ আছে যারা তাঁদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিন্তিত আর যাঁরা ভাবেন না এসব।'
রাম কাপুর এদিন আরও জানান তিনি সকালের খাবারটা সাড়ে ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে খেতেন, তারপর আবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ খেতেন। মাঝে কিছু খেতেন না। এছাড়া ১৬ ঘণ্টা করে কিছু না খেয়ে থাকতেন। রোজ ৪৫ মিনিট করে কার্ডিও, ৪৫ মিনিট শক্তি বাড়ানোর এক্সারসাইজ করতেন। ফিট থাকতে, সুস্থ থাকতে এবং ওজন কমাতে দুটো জিনিস করতেই হবে বলে তিনি জানান। কী কী? ভালো ঘুম এবং সঠিক শক্তি বাড়ানোর এক্সারসাইজ। তিনি এদিন আরও জানান তিনি অজেম্পিক ওষুধ বা অন্যান্য স্টেরয়েড খাননি মোটেই রোগা হওয়ার জন্য। প্রসঙ্গত অজেম্পিক এক ধরনের অ্যান্টি ডায়বেটিক ওষুধ যা অনেকেই ওজন কমানোর জন্য ব্যবহার করে থাকেন।
রাম কাপুরকে দর্শকরা বড়ে আচ্ছে লাগতে হ্যায়, স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার-এর মতো সিরিয়াল সিনেমায় দেখেছেন।