ঐশ্বর্যর দাম্পত্য জীবন গত কয়েক বছরে থেকেছে সংবাদ শিরোনামে। আসলে কেরিয়ারের শুরু থেকেই রাই সুন্দরীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের কৌতুহল অপার। বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের প্রেমে একটা সময় হাবুডুবু খেয়েছেন নীল নয়না। হাম দিল দে চুকে সনমের সেটে তাঁর অফস্ক্রিন রোম্যান্সের সাক্ষী অনেকেই। কিন্তু সেটেনি সেই বহুকাঙ্খিত প্রেমের গল্প। নন্দিনী আর সমীরের মতোই বাস্তব জীবনেও আলাদাই রয়ে গিয়েছেন দুজনে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অ্যাডগুরু প্রহ্লাদ কক্কর বলেন, সলমনের সঙ্গে ব্রেকআপের পর বলিউডের সবাই ঐশ্বর্য সঙ্গে পেশাদার সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করেছিল, যার জেরে ভেঙে পড়েছিলেন নায়িকা। শাহরুখ খান চলতে চলতে ছবি থেকে না বলেই রিপ্লেস করেছিলেন অ্যাশকে। হাতছাড়া হয়েছিল হাফ ডজনের বেশি ছবি। প্রহ্লাদ বলেন তিনি নিজেই এটি দেখেছেন এবং বুঝতে পেরেছিলেন যে এই ব্রেকআপ ঐশ্বর্যর পেশাদার জীবনকে প্রভাবিত করছে।
ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে আলাপচারিতায় প্রহ্লাদ কক্কর বলেন, 'আমিই শুধু ওকে সমর্থন করছিলাম। আমি বললাম, ‘এসব নিয়ে চিন্তা করো না….ওহ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছিল কারণ সলমনের জন্য় পুরো ইন্ডাস্ট্রি ওকে বয়কট করা শুরু করে। ওর সঙ্গে অনেক অবিচার হয়েছে, ঐশ্বর্য অনেক প্রতারিত হয়েছিলেন’। অ্যাডম্যান নামে পরিচিত প্রহ্লাদ বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবে ব্রেকআপের পর বেশ স্বস্তি পেয়েছিলেন ঐশ্বর্য’।
এই ব্রেকআপের পরে ঐশ্বর্য রাইয়ের জীবনে যে প্রভাব পড়েছিল সে সম্পর্কে কথা বলেন প্রহ্লাদ। তাঁর কথায়, সলমন শারীরিক নির্যাতন চালাতেন, এককথায় ঐশ্বর্যর প্রেমে পাগল ছিলেন ভাইজান। তাঁর কথায়, এমন একজন ব্যক্তির সাথে জীবন কাটানো যায় না। প্রহ্লাদকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ঐশ্বর্য রাই নিজেই তাঁকে এই সব বলেছেন কিনা, তখন তিনি বলেন, না। তবে ঐশ্বর্যর প্রতিবেশি হওয়ার সুবাদে অনেক কিছু স্বচক্ষে দেখেছেন তিনি বলেন বাড়ির ওয়েটিং এরিয়ায় এসে রোজদিন তামাশা করতেন সলমন। প্রহ্লাদ বলেন কখন কখনও সলমন এসে দেওয়ালে মাথা ঠুকতেন। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার অনেক আগেই এই সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছিল। এই ব্রেকআপ শুধু ঐশ্বর্য নয়, তাঁর বাবা-মা এবং বিশ্বের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ছিল। প্রহ্লাদ বলেন, নায়িকার সবচেয়ে বড় দুঃখ ছিল ব্রেকআপের পর পুরো ইন্ডাস্ট্রি সলমন খানের পাশে ছিল, কেউ তাঁকে সমর্থন করেনি।