বলিউড অভিনেতা ঐশ্বর্য রায় এবং অভিষেক বচ্চনের বৈবাহিক জীবনের বয়স দেখতে দেখতে ১৮ বছর। তবে গত বছর আচমকাই এই দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও বচ্চন পরিবারের কেউই এই গুজবের উপর কোনো মন্তব্য করেননি, পরে দুজনে একসঙ্গে একটি বিয়েবাড়িতে হাজির হয়ে জল্পনায় জল ঢেলেছিলেন। এবার ভিকি ললওয়ানির সঙ্গে সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রহ্লাদ কাক্কার, যিনি ঐশ্বর্যরও প্রতিবেশীও, তিনি প্রকাশ করেছেন কেন অভিনেত্রী প্রায়শই তাঁর মায়ের বাড়িতে যান। এবং তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের গুজব সত্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন।
ঐশ্বর্য রায় এবং অভিষেক বচ্চনের আলাদা থাকার গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন প্রহ্লাদ কাক্কার। ঐশ্বর্য রায়ের মায়ের প্রতিবেশী প্রহ্লাদ জানিয়েছেন যে, তাঁর মা অসুস্থ থাকায় তিনি প্রায়শই তাঁর মাকে দেখতে যান। তাঁর মতে, ঐশ্বর্য সাধারণত তাঁর মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যান এবং পরে তাঁকে নিয়ে আসেন, এবং মাঝের সময়টা মায়ের সঙ্গে কাটান। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে ঐশ্বর্য তার মায়ের খুব ঘনিষ্ঠ এবং মায়ের স্বাস্ত্য নিয়েও খুব চিন্তা করেন।
যখন আরও জিজ্ঞাসা করা হয় যে, ঐশ্বর্য কি সত্যিই জয়া বচ্চন এবং শ্বেতা বচ্চনের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তাঁর মায়ের বাড়িতে চলে গিয়েছেন? প্রহ্লাদ জবাব দেন, ‘তাতে কি? সেই বাড়ির বউ এবং সে এখনও বাড়িটি পরিচালনা করে। আমি জানতাম এতে কোন সত্যতা নেই। কারণ আমি জানি কেন তিনি মায়ের কাছে যান। লোক বলে, উনি বিয়ে থেকে বেরিয়ে মায়ের সঙ্গে থাকছেন। মোটেও তা নয়। তিনি মোটেও মায়ের সঙ্গে থাকেন না। বরং মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে যান যখন মেয়ে স্কুলে থাকে। আর তিনি রবিবার করে কখনো আসেন না।’
‘মায়ের জন্য ওর এই উদ্বেগ আমি বুঝি। মাঝে মাজে ঐশ্বর্যর সঙ্গে অভিষেকও আসে শাশুড়িকে দেখতে। যদি সত্যি ছাড়াছাড়ি হত, তাহলে তিনি কেন আসতেন? আপনারা দেখবেন না ঐশ্বর্য, না অভিষেক, কেউই এই ব্যাপারে কথা বলেনি? কেন মুখ খুলবে, তোমরা ঘেউ ঘেউ করতে থাকো। ঐশ্বর্য বরাবরই নিজের মর্যাদা বজায় রেখেছে, আর এই কারণে সাংবাদিকদের চক্ষুশূল তিনি।’
ঐশ্বর্য রায় এবং অভিষেক বচ্চনের সম্পর্ক
অভিষেক এবং ঐশ্বর্য প্রেমে পড়েন এক সিনেমার সেটে। উমরাও জান এবং গুরু ছবিতে কাজ করার সময় তারা উভয়েই একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন। এরপর ২০০৭ সালের এপ্রিলে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতি ২০০১ সালে তাদের মেয়ে আরাধ্য বচ্চনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে, ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের মধ্যে ডিভোর্সের গুজব শুরু হয় যখন অভিনেত্রী এবং তাঁর মেয়ে আনন্ত আম্বানির বিয়েতে বাকি পরিবার- অমিতাভ, জয়া, অভিষেক, শ্বেতা, আগস্ত্য নন্দা এবং নব্য নন্দা-সহ অন্যদের থেকে আলাদাভাবে উপস্থিত হন। এটি তাদের পৃথক থাকার খবরকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। এমন খবরও ছিল যে ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের সেপারেশন চলছে। তবে তাঁদের কেউই এই গুজবের উপর কোনো মন্তব্য করেননি।