ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা রাহুল মজুমদার। তাঁকে শেষ 'হর-গৌরি পাইস হোটেল' মেগায় দেখা গিয়েছিল। ফের ছোট পর্দায় ফিরছেন নায়ক। এবার তাঁকে ভগবান রামের ভূমিকায় দেখা যাবে। তবে কি অভিনেতার কোনও নতুন মেগা শুরু হচ্ছে? কোন চ্যানেলে দেখা যাবে নায়ককে?
আরও পড়ুন: সাই পল্লবী কে চেনেন না শ্বেতা! স্লিভলেস ব্লাউজ বিতর্কের পাল্টা জবাব যা বললেন নায়িকা
না কোনও নতুন মেগা নয় অভিনেতাকে রাম রূপে দেখা যাবে মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠানে। দুর্গাপুজো মানেই 'মহালয়া'র ভোর। প্রত্যেক বছরই টেলিভিশনের নানা চ্যানেলে মহালয়ার ভোরে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' অনুষ্ঠিত হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। মহিষাসুরমর্দ্দিনীর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বছর সান বাংলাতেও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিষাসুরমর্দ্দিনী। তাদের অনুষ্ঠানের নাম ‘অকাল বোধন’। আর এই অনুষ্ঠানেই রাম রূপে নজর কাড়তে চলেছেন রাহুল। ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে এই অনুষ্ঠানের নতুন প্রোমো। সেখানে রামের অকাল বোধনের গল্প তুলে ধরা হয়ে।
বহু বছর পর এই অনুষ্ঠানে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' রূপে ফের দেখা যাবে পায়েল দে-কে। পায়েলকে অনেকবারই দুর্গা রূপে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গিয়েছে। তবে মাঝে বেশ কিছু বছর দর্শকরা তাঁকে আর এই বেশে দেখেননি। এবার সান বাংলার হাত ধরে ফের পায়েলকে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' রূপে দেখতে চলেছেন দর্শকরা।
আরও পড়ুন: 'ধূমকেতু' দেখতে যাবেন সৌরভ? 'দেব-শুভশ্রী দু'জনে…', দেশু জুটি প্রসঙ্গে যা বললেন দাদা
এই প্রসঙ্গে পায়েল বলেছিলেন, 'আমার সৌভাগ্য যে সান বাংলা আমায় মহিষাসুরমর্দ্দিনী করার সুযোগ দিয়েছে। প্রত্যেক নৃত্যশিল্পীর কাছে এটা একটা স্বপ্নপূরণের মতো। জীবনে সবাই চায় একবার মহিষাসুরমর্দ্দিনী করতে। যতদূর মনে পরে ২০১৭ সালে এক চ্যানেলের জন্য আমি শেষ মহিষাসুরমর্দ্দিনী করেছিলাম। মাঝে অনেকটা বছর বিরতি। এত বছর পর আবার আমায় সেই সুযোগ করে দেবার জন্য সান বাংলাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 'অকাল বোধনে' এর চিত্রনাট্যে পৌরাণিক কাহিনির সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধনে করা হয়েছে। এত বছর পর মহিষাসুরমর্দ্দিনী করতে পেরে আমার খুবই নস্ট্যালজিক লাগছে।'
'অকাল বোধন'-এর গল্প
ত্রেতা যুগে রামচন্দ্র আর রাবণের যুদ্ধে যখন দেবীর আশীর্বাদে রাবণ প্রায় যুদ্ধ জয়ের দিকে এগোচ্ছেন, তখন ব্রহ্মার পরামর্শে শ্রীরামচন্দ্র দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে, আরাধনা শুরু করেন। দেবী ভক্তের ভক্তি পরীক্ষা করার জন্য সন্ধি পুজোর একটা পদ্ম লুকিয়ে রাখেন। পুজোয় পদ্ম কম দেখে শ্রী রামচন্দ্র নিজের চোখ তীরবিদ্ধ করে অর্পণ করতে চাইলে, দেবী খুশি হয়ে পদ্ম ফুল ফিরিয়ে দেন এবং শ্রীরামকে যুদ্ধ জয়ের আশীর্বাদ করেন। হনুমান শ্রীরামচন্দ্রের কাছে দেবীর মহিমা জানতে চাইলে রামচন্দ্র তাঁদের মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেবীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন।