নিরস্ত্র পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে গুলি করে খুন করা হয়। পহেলগাঁও-এর ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে ইতিমধ্যেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানি তারকাদের ভারতে আসা যাওয়ায় উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আর এর মাঝেই রটেছে দক্ষিণী তারকা প্রভাস নাকি পাক সেনা আধিকারিকের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন। মেয়েটির নাম নাকি ইমানভি। তাঁদের হাসিমুখের একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে। চলছে বিস্তর চর্চা, নেটিজেনরা নায়কের উপর বেশ চটেছিলেন। আর এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন ইমানভি নিজে।
তাঁর কথায়, ‘প্রথমত, আমি পহেলগাঁওয়ের হওয়া মর্মান্তিক ঘটনার জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাতে চাই। যাঁরা নিহত হয়েছেন বা যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের সকলের জন্য আমার হৃদয় কাঁদছে। যে কোনও নিরীহ জীবনের ক্ষতি দুঃখজনক। আমি এই সহিংস কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। আমি আশা করি শীঘ্রই এমন একটা দিন আসবে যেখানে আমরা সবাই একসঙ্গে একত্রিত হতে পারব।’
আরও পড়ুন: পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় আদিল! তাঁকে নিয়ে পোস্ট প্রিয়াঙ্কার
এরপর তিনি তাঁকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া চর্চা প্রসঙ্গে লেখেন, ‘আমি সেইসব গুজব এবং মিথ্যাচারেরও সমাধান করতে চাই যা ভুয়ো খবরের উৎস এবং নেটদুনিয়ায় আমার পরিবার এবং আমার নামে মিথ্যা ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে বিভেদ তৈরি করা যায় এবং ঘৃণা ছড়ানো যায়। প্রথমত, আমার পরিবারের কেউ কখনও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত ছিলেন না। বর্তমানেও নেই। একমাত্র ঘৃণা ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই ট্রোলরা এই কাজটি করছেন। সঙ্গে আরও অনেক মিথ্যাচার তৈরি করেছে। বিশেষ করে হতাশাজনক বিষয় হল যে বৈধ সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিক এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যক্তিরাও সবটা যাচাই না করে এই অপবাদমূলক বক্তব্যগুলি ছড়িয়ে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলা, তীব্র নিন্দায় সিনেমার প্রচারমূলক অনুষ্ঠান নিয়ে বড় পদক্ষেপ করলেন মাধবন!
পোস্টটিতে আরও লেখা ছিল, ‘আমি একজন গর্বিত ভারতীয় আমেরিকান যে হিন্দি, তেলেগু, গুজরাটি এবং ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। আমার বাবা-মা একটা সময় আইনত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন, সেই সময় আমার জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে হয়। তাঁরা আমেরিকান নাগরিক হওয়ার পরপরই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা শেষ করার পর, আমি একজন অভিনেতা, কোরিওগ্রাফার এবং নৃত্যশিল্পী হিসেবে শিল্পকলায় ক্যারিয়ার গড়ে তুলি। এই ক্ষেত্রে অনেক কাজ করার পর, ভারতীয় ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এই বিনোদন জগৎ আমার জীবনে একটা বিরাট প্রভাব ফেলেছে, এবং আমি আমার আগে আসা পথিকৃৎদের উত্তরাধিকারকে আরও সমৃদ্ধ করার আশা রাখি। আমার রক্তে ভারতীয় পরিচয় এবং সংস্কৃতি গভীরভাবে প্রবাহিত, আমি এই মাধ্যমটিকে ঐক্যের রূপ হিসেবে ব্যবহার করার আশা করি।’