মিকা সিং একাধিক সময়ে সলমন খান ও শাহরুখ খানের সঙ্গে বন্ধুত্বের একাধিক গল্প ভাগ করে নিয়েছেন। এবার একটি পডকাস্টে তিনি জানান, সলমন খানের ব্যাপারে অনেক গোপন কথাই রয়েছে তাঁর কাছে। মিকার দাবি যে, দিনের একটি বিশেষ সময় রয়েছে যখন লোকেদের সলমন খানের সঙ্গে কথা বলা উচিত নয়। তখন সে অন্য জগতে বাস করে। মিকা আরও প্রকাশ করেছিলেন যে, সলমন খান গান গাইতে পছন্দ করেন। এবং রাতের যে কোনো সময় বন্ধুদের ফোন লাগিয়ে দেন।
রাতে সলমনের অন্যরকম মেজাজ
শুভঙ্কর মিশ্রের পডকাস্টে এসেছিলেন মিকা। সেখানে ভাইজান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখনই আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই, তিনি খুব খোলামেলা আচরণ করেন। দু পেগ ড্রিঙ্ক করার পরই তিনি আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেন, যেন আমি তাঁর বড় ভাই বা আমরা দুজনে সমান সমান। তিনি পরিস্থিতি এত সুন্দর মনোরম করে তোলেন। তবে ২ পেগ হোক বা চার পেগ, সবার মনে রাখা উচিত তিনি সলমন খান। আর সেটা মনে রাখতে পারলেই, মার খাওয়ার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।’
মিকা ও সলমন খানের সাক্ষাৎ
তিনি আরও জানান যে, ‘জনম সমঝা করো’র ছবির শুটিংয়ের সময় প্রথম সুপারস্টারের প্রথম সুপারস্টারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়। মিকা সেই সম্পর্কে বলেন, ‘আমার তখন এত বুদ্ধি ছিল না যে গিয়ে তাঁর পায়ের কাছে বসব এবং বলব, 'স্যার, আমাকে আপনার একটি সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ দিন'। তিনি খুব ভালোবেসে, আনন্দের সঙ্গে শ্যুট দেখছিলেন। এবং কিছুক্ষণ পর তিনি আমাদের সঙ্গে চাও পান করেছিলেন। আমার তখন এত বুদ্ধিও ছিল না, তাঁর কনট্যাক্ট নম্বর নিয়ে রাখব।’
মিকা আরও বলেন, তাঁর ধারণা যে, সেই সময় সলমন খান নিশ্চিত ভাবে তাঁকে দেখে ভেবেছিলেন ‘কার্টুন’। কারণ সেই সাক্ষাতের সময় সলমন খান যখন তাঁকে গান গাইতে বলেন, তখন গলা দিয়ে প্রায় স্বরই বের হচ্ছিল না।
সলমনের ভালো মুড থাকে কখন?
মিকা আরও বলেন যে, কীভাবে সলমন একবার একটি ছবির প্রিমিয়ারে মিট ব্রোসকে উপেক্ষা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই গল্প আমি কাওকে কখনো বলিনি। মিট ব্রাদার্সদের সঙ্গে একবার রাতে বিরিয়ানি খেয়েছিলেন সলমন। ওরা মনে করেছিল বুঝি বা তারা ভাইয়ের সেরা বন্ধু হয়ে উঠেছে। আমি যা জানি, তা তো তারা জানে না। আমি জানি সলমন ভাই দিনের বেলা কেমন খিটখিটে করে। সন্ধ্যা ছয়টার পরেই তাঁর কাছে যাওয়া উচিত। দুপুর ২টো থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত সলমন খান থেকে দূরে থাকুন।’
মিকা এরপর জানান যে, সলমন খান রাতে তাঁর বন্ধুদের ফোন করেন। তা সেটা ভোর চারটেও হতে পারে। উত্তর না দিলেই রেগে যান। গায়কের কথায়, ‘আমি বালিতে ছিলাম। রাতে তার ফোন পেলাম। তিনি 'হ্যাংওভার' গানটি গাইতে চাইলেন। এবং ফোনে আমাকে গান গেয়ে শোনালেনও। আমার তো মনে হয়েছিল, দারুণ গান গেয়েছে। এরপর তিনি 'জুম্মা কি রাত' গান। আমি এটা গাইতে চাই, বলার মতো সাহস ছিল ন আমার। স্পষ্টতই তাঁর গান শুনলে কেউ বলতে পারবে না যে, তিনি গান গাইতে পারেন না। এরপর আমি ভূষণ কুমার ও সাজিদ নাদিয়াদওয়ালাকে মেসেজ করি।’