বেশ কিছুদিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, যুক্তরাজ্য- ভিত্তিক উদ্যোক্তা কবীর বাহিয়ার প্রেমে নাকি হাবুডুবু খাচ্ছেন কৃতি স্যানন। আর এর মাঝেই সম্প্রতি নায়িকাকে কবীর বাহিয়ার আত্মীয়ের বিয়ের ছবিতে দেখা গিয়েছে। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হয়ে উঠেছে স্যোশাল মিডিয়া সেন্সেনশন। ছবিতে নায়িকাকে স্টাইলিশ ভারতীয় পোশাকে নজর কাড়তে দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে কৃতিকে দারুণ দেখাচ্ছিল।
বিয়েতে অভিনেত্রীর উপস্থিতি আবারও কবীরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জনকে উস্কে দিয়িছে। কিন্তু কৃতি বা কবীর কেউই তাঁদের সম্পর্কে সিলমোহর দেননি। তবে তাঁদের বাড়তে থাকা ঘনিষ্ঠতা এখন শহরের আলোচনার বিষয়।
আরও পড়ুন: আমি ক্যানসার আক্রান্ত সেটা ছেলেকে বলা সবচেয়ে কঠিন ছিল: সোনালি বেন্দ্রে
কবীরের পারিবারিক অনুষ্ঠানে অভিনেত্রীর উপস্থিতি তাঁর অনুরাগীদের মনে ফের কৌতূহল সৃষ্টি করেছে, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই নানা অনুমান করছেন। তবে, কৃতী এই বিষয়ে একদম চুপ।
কিন্তু এই কৌতুহলের শুরু বহু আগে, যখন কৃতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কবীরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তখন থেকে। দু'জনের একটি ছবি পোস্ট করে কৃতি লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন কে! তোমার নিষ্পাপ হাসি সবসময় বেঁচে থাকুক!’ লেখার সঙ্গে একটি লাল হার্ট ইমোজি ছিল। তাঁর এই শুভেচ্ছাবার্তা ভক্তদের তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাব্বার মাঠে সারা! শুভমনের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে কি সিলমোহর দিলেন সচিন-কন্যা?
তবে কৃতি সব সময়ই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রেখেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে তিনি তাঁর কর্মজীবনের দিকে বেশি মনোনিবেশ করেছেন। সম্প্রতি, তিনি 'মিমি' ছবিতে তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। অনেকের মতে তিনি বলিউডের সবচেয়ে বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে বারবার প্রমাণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছে 'দো পাত্তি' ছবিতে। তবে প্রেক্ষাগৃহে নয়, নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। এই ছবি পরিচালনা করেছেন শশাঙ্ক চতুর্বেদী। তিনি বি-টাউনে বব নামে পরিচিত। ২০১৫ সালে রোহিত শেট্টির ‘দিলওয়ালে’র পর এই ছবিতে ফের একসঙ্গে কাজ করেছেন কাজল ও কৃতি। এই ছবি ২৫শে অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পয়েছে।
মুক্তির আগে কৃতির ছবি নিয়ে বলেছিলেন,'দো পাত্তি আমার কাছে অবিশ্বাস্যভাবে বিশেষ, কেবল প্রযোজক হিসাবে এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র নয়, কারণ এটি আমাকে পর্দায় আমার নিজেকে দ্বৈত চরিত্রে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ দিয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি আমার সন্তানের মতো হয়েছে; কণিকা এবং আমি শুরু থেকেই এটিকে লালন করেছি, বিশেষত প্রযোজক হিসাবে আমাদের দক্ষতায় এবং নেটফ্লিক্সের সাথে এই যাত্রাটি দেখতে সত্যিই পরিতৃপ্তিদায়ক।'