কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ১৩-এর এপিসোডে বিশেষ অতিথি হিসেবে হট সিটে এসে হাজির হয়েছিলেন গায়ক সোনু নিগম এবং শান। কেবিসি-র 'শানদার শুক্রবার' পর্বে হাজির হয়েছিলেন এই দুই তারকা গায়ক। আর যে মঞ্চে একসঙ্গে বলিপাড়ার এই দুই জনপ্রিয় গায়ক উপস্থিত হবে, বলাই বাহুল্য সেখানে সুর থেকে গান সবকিছু থাকাটাই যে স্বাভাবিক তা দর্শকমাত্রই আশা করে রেখেছিলেন। এবং সেরকমই হল। শো-এর সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অন্ত্যাক্ষরী অর্থাৎ গানের লড়াইয়ের খেলায় মাতলেন সোনু এবং শান। তারই মাঝে সামান্য সুযোগ পাওয়ামাত্রই প্রকাশ্যে শান-এর পিছনে লাগার সুযোগ এতটুকুও ছাড়েননি 'বিগ বি'। এই 'শানদার শুক্রবার'-এর এপিসোড যে বেশ মিউজিক্যাল হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অমিতাভের সিনেমা 'বম্বে টু গোয়া' থেকে 'দেখা না হায় রে' এবং থ্রি ইডিয়টসের 'আল ইজ ওয়েল'-এর মতো গানগুলি গেয়ে উঠেছিলেন শান ও সোনু। যাই হোক, ফেরা যাক গানের লড়াইয়ের প্রসঙ্গে। খেলার শুরুতে তাঁর বিখ্যাত ব্যারিটোন স্বরে অমিতাভ গেয়ে ওঠেন 'মেরে অঙ্গনে মে তুমহারে ক্যায়া কাম হ্যায়' গানটি। 'কাল হো না হো' গেয়ে উঠে পাদপূরণ করেন সোনু। এরপরই পালা আসে শান-এর। আর সেই অপেক্ষাতেই যেন ছিলেন 'শাহেনশাহ'। 'হামে তুমসে প্যায়ার কিতনা' গানটি যে তিনি অমিতাভের উদ্দেশে তিনি গাইছেন সেকথা গান শুরু করার আগেভাগেই স্বীকার করে নেন শান। তাতেও মেলেনি রেহাই। একমনে গানটি গেয়ে ফেলতেই শানের দিকে অমিতাভের বাউন্সার, 'এই গান মোটেই আমার জন্য আপনি গাননি। দর্শকদের মধ্যে আপনার স্ত্রী বসে রয়েছেন। তাঁর উদ্দেশেই যে আপনি এই গানটি গেয়ে উঠলেন সেটা আমি বেশ বুঝেছি'। 'বিগ বি'-র মন্তব্য শুনে ততক্ষণে হেসে লুটোপুটি শো-তে উপস্থিত থাকা দর্শকের দল। ওদিকে ততক্ষণে লজ্জায় লাল হয়ে উঠেছেন শান। তাতেও থামেননি 'শাহেনশাহ'। শান-এর স্ত্রী রাধিকা মুখোপাধ্যায়কে সরাসরি অমিতাভ জিজ্ঞেস করেন, 'কী আমি ঠিক বলছি তো?' শানকে বিপাকে ফেলে অমিতাভের কথায় এক গাল হাসি নিয়ে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেন রাধিকাও।