ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত জগতের প্রথিতযশা শিল্পী কৌশিকি চক্রবর্তী। অজয় চক্রবর্তীর সুযোগ্য কন্যা তিনি। সঙ্গীত তাঁর শিরায়, সেই সুর পেয়েছে কৌশিকি পুত্রও। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের পরিবেশে বড় হয়ে ওঠেছে ঋষিথ। মঞ্চে মা-ছেলের যুগলবন্দি মুগ্ধ করে দর্শকদের। আরও পড়ুন-‘কেউ এগিয়ে আসেনি’, কলকাতাগামী চলন্ত ট্রেনের কামরায় ভয়ঙ্কর ঘটনা সারেগামাপা খ্যাত রাফার সঙ্গে! শিউরে উঠবেন!
এবার সারেগামাপার মঞ্চে দেখা মিলল ঋষিথের। না, না প্রতিযোগী হিসাবে নয়, দর্শকাসনেই দেখা গেল তাঁকে। আসলে আবির চট্টোপাধ্যায়ের ‘ছোট সাইজের বড় ভক্ত’ ঋষিথ। মায়ের সঙ্গে অনুষ্ঠান দেখতে পৌঁছেছিল সে। এই সিজনে সারেগামাপা-র বিচারকের আসনে রয়েছেন কৌশিকি।
সারেগামাপা-র মঞ্চে বাবা-মা'র হাত ধরে পৌঁছেছিল মদনপুর, নদিয়ার মেয়ে দেয়াশিনী রায়। কৌশিকির সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রতিযোগী জানান, মা-কে ভীষণ ভয় পান তিনি। তখনই আক্ষেপ ঝরে পড়ল কৌশিকির গলায়। তিনি বলেন, ‘কী যে শুনে আমার ভালো লাগছে। আমার ছেলে যদি আমাকে একটু ভয় পেত, কী খুশিই হতাম। একটুও ভয় না, এত বড় হনুমান…’। প্রতিবাদ জানান সঞ্চালক আবির। বলেন, ‘তুমি সকলের সামনে ওকে এভাবে বলতে পারো না’।
ততক্ষণে ক্যামেরাপার্সন ক্যামেরা তাক করেছেন দর্শকাসনে বসা এক খুদের দিকে। সে আর কেউ নয় কৌশিকি পুত্র। গায়িকা বললেন, ‘মাকে কেউ ভয় পেলে আমি খুশি হই। আর ভাবি কাশ (যদি)…’। এরপরই ঋষিথকে মঞ্চে ডেকে নেন আবির। গায়িকার কথায়, ‘আমার ছেলেকে আমি হনুমান বলি, ও পছন্দ করে না। আমি তাও বলি। কিন্তু ও আমাকে বিন্দুমাত্র ভয় পায় না’।
মঞ্চে ছেলের ডাক পড়তেই ‘বাবু’ ডাক কৌশিকির। ইশারায় সচেতন করার চেষ্টা করেন ঋষিথকে। সত্যি কি মা-কে ভয় পায় না সে? ঋষিথ জানায়, মা ভুল বলছে। সে মা-কে ভয় পায়। খুদে গায়ক যোগ করে, ‘তেমন নয়, তবে রেওয়াজ করতে বসলে মা-কে ভয় লাগে’। হাটে হাঁড়ি ভেঙে কৌশিকি বলেন, ‘ওকে যদি আমি রেওয়াজ করতে বসাতে পারি তাহলে’।
কৌশিক চক্রবর্তী ও পার্থ সারথি দেশিকানের একমাত্র সন্তান ঋষিথ। ছোট থেকে নানান যন্ত্রের প্রতি ন্যাক ঋষিথের। এই বয়সেই দুর্দান্ত তবলাও বাজায় ঋষিথ। ছোট থেকেই মায়ের কাছে সঙ্গীতের শিক্ষা নিচ্ছে সে। মঞ্চেও একসঙ্গে গাইতে শোনা যায় তাঁদের।