৯০ দশকের যে সমস্ত অভিনেত্রীরা বলিউডে রীতিমতো রাজ করেছিল, তার মধ্যে অন্যতম হলেন কাজল। তনুজা কন্যা কাজল (Kajal) নিজেকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে। সর্বদা স্পষ্টবাদী কাজল সম্প্রতি মুখ খুললেন এই মুহূর্তে বড় পর্দায় কম কাজ করার বিষয় নিয়ে।
সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কাজল বলেন, আপনি যদি ফিল্মগ্রাফি দেখেন আমার, তাহলে বুঝতে পারবেন আমি সবথেকে কম কাজ করা একজন অভিনেত্রী। আমার মা এবং ঠাকুমা আমায় সবসময় বলতেন, কাজ কিন্তু জীবনের একটি অংশ নয়, বরং একটা গোটা জীবন। তবে পেশার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনকেও আমি সমানভাবে গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলাম।
(আরও পড়ুন: মা-বাবা দুজনেই অভিনেতা, তৈমুরও কি সেই পথেই হাঁটবে? প্রশ্ন শুনেই ফ্যাকাশে হয়ে গেলেন কেন সইফ?)
কাজল আরও বলেন, আমি যখন বিয়ে করি তখন কাজ থেকে বিরতি নিই। তারপর আমার সন্তান হয় এবং মাঝে বেশ কয়েকটা বছর আমি কাজ থেকে দূরে থাকি। তবে সৌভাগ্যক্রমে এখনও আমি কাজ পাচ্ছি এবং সমানতালে কাজ করে যাচ্ছি। তবে পুরোটাই আমার নিজের যোগ্যতার জন্য, এর পেছনে আমার বংশ পরিচয়ের ভূমিকা নেই।
কাজলের ক্যারিয়ার
১৯৯২ সালে রাহুল রাওয়েলের বিপরীতে ‘বেখুদি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন কাজল। ১৯৯০ দশকে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে সফল নায়িকাদের তালিকায় প্রথম দিকে উঠে এসেছিলেন তিনি। কাজলের ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলির মধ্যে রয়েছে ‘গুপ্ত’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘কুচ কুচ হোতা হে’, ‘ইশক’, ‘দুশমন’, ‘রাজু চাচা’, ‘পেয়ার তো হোনা হি থা’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ সহ আরও অনেক সিনেমা।
(আরও পড়ুন: এবার অ্যাকশনে ঠাসা সিনেমায় শাহিদ! বিশাল ভরদ্বাজের ছবির জন্য নিচ্ছেন কমব্যাট ট্রেনিং
২০০৩ সালে মেয়ের জন্মের পর তিনি কিছু বছর বিরতি নিয়েছিলেন। মেয়ে বড় হওয়ার পর তিনি ফের ‘ফানা’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘উই আর ফ্যামিলি’-র মতো সিনেমার হাত ধরে ফিরে আসেন বড় পর্দায়। ছেলে যুগ জন্ম নেওয়ার পর কাজল সিদ্ধান্ত নেন পাকাপাকিভাবে সরে যাবেন সিনেমা জগত থেকে। যদিও পরবর্তীকালে ২০১৫ সালে ‘দিলওয়ালে’ সিনেমায় শাহরুখের বিপরীতে অভিনয় করার মাধ্যমে বড় পর্যায়ে ফিরে আসেন তিনি।
কাজলের আসন্ন সিনেমা
এই মুহূর্তে ‘দো পাত্তি’ নামক একটি সিরিজের অভিনয় করতে দেখা যাবে কাজলকে। এখানে কাজলের বিপরীতে অভিনয় করবেন কৃতি স্যানন। কাজল এই সিনেমায় একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করবেন।