রিয়েলিটি শো নিয়ে একটা বিতর্ক ওঠে হামেশাই, তা হল আদৌ কি আসল? নাকিসবটাই স্ক্রিপ্টেড। বিগত কিছু বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে যে, বিজেতারাও যেন বছরখানেক যেতে না যেতেই কোথায় গায়েব হয়ে যাচ্ছেন। একাধিক চ্যানেলে একাধিক রিয়েলিটি শো, একাধিক বিজেতার ভিড়ে, একসময় মাতামাতি হওয়া সেই মুখগুলোই তলিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।
সম্প্রতিই শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫। আর এবারে তা বিশেষভাবে মানুষের মনে থেকে যাবে, কারণ ট্রফি জিতেছেন বাংলার মেয়ে মানসী ঘোষ। সঙ্গে আরও একাধিক বাঙালি প্রতিভা এবার কেড়েছিলেন নজর। যার মধ্যে অন্যতম ময়ূরী সাহা। যদিও সেরা পাঁচে পৌঁছনোর আগেই, আউট হয়ে যান।
এক সাক্ষাৎকারে নিজের অন্ডিয়ন আইডলের জার্নি নিয়ে অকপটে কথা বলেছিলেন ময়ূরী। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, রিয়ালিটি শো রিল নাকি রিয়েল?
তাতে ময়ূরীর জবাব ছিল, ‘পুরোটা স্ক্রিপ্টেড না হলেও কিছুটা তো বটেই, কারণ একটা রিয়ালিটি শোয়ের একটা এপিসোড ১ দিনে শ্যুট করা, স্ক্রিপ্ট ছাড়া সম্ভব হয় না।’ ময়ূরী এরপর নিজের মন্তব্যে জুড়েছিলেন, টট
সাক্ষাৎকারীর গায়িকা জানান যে মোটামুটি ৬০ শতাংশ আসল থাকলেও, ৪০ শতাংশ স্ক্রিপ্টেড। ময়ূরী বলেন, ‘টা একটা শো, একটা ব্যবসা। আর এটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য কিছুটা স্ক্রিপ্টেড তো হতেই হয়।’
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান আইডল না জিতলেও, ময়ূরীর ফ্যানবেস বেশ ইর্ষণীয়। গায়িকা জানান যে, প্রচুর বড় বড় শো করার ইচ্ছে রয়েছে ভবিষ্যতে। বড় বড় পরিচালকদের সঙ্গে প্লেব্যাক করার স্বপ্ন দেখেন। সঙ্গে নিজের একটা ব্যান্ড তৈরি করা এবং নিজের মিউজিক একাডেমিকে দাঁড় করানোর প্রতিজ্ঞা করেছেন মনে মনে।
ইন্ডিয়ান আইডল ১৫ সম্পর্কে:
মার্চ মাসেই আসে ইন্ডিয়ান আইডলের ফলাফল। আর দেখা যায় যে, নিমতা পাইকপাড়ার মেয়ে মানসী ঘোষ হয়েছেন বিজেতা। আর দ্বিতীয় স্থানেও বাংলর ছেলে, খড়গপুরের ছেলে পানওয়াল শুভজিৎ। আর তৃতীয় হন স্নেহা শঙ্কর। বিজেতা মানসীর হাতে ওঠে একটি গাড়ি, ট্রফি, আর ২৫ লাখ টাকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা শুভজিৎ ও স্নেহা পান ৫ লাখ টাকা।