বলিউডের কিং খান তিনি। সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মুম্বইয়ের সিনে-ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের শাসন চালাচ্ছেন শাহরুখ খান। দিল্লির ছেলেকে দু-হাত বাড়িয়ে আপন করে নিয়েছে মায়ানগরী। বলিউডের ‘কিং অফ রোম্য়ান্স’ শাহরুখ খানের ফিল্মোগ্রাফিতে ছবির সংখ্যা কয়েক শো। তার অনেক চলচ্চিত্র বক্স অফিসে হিট হয়েছিল, আবার কিছু চলচ্চিত্র বক্স অফিসে ফ্লপ হয়েছিল।
শাহরুখ খান এই ফ্লপগুলির মধ্যে একটি ছবিকে তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে মনে করেন। তিনি বলেছিলেন যে এই ছবিটি ফ্লপ হওয়ার পরে তিনি, তাঁর পরিচালক এবং সহ-অভিনেত্রী জুহি চাওলা খুব কেঁদেছিলেন। জানেন কোন ছবি?
শাহরুখ খানের সেই ছবিটি ২০০০ সালে অর্থাৎ নতুন শতাব্দীতে মুক্তি পেয়েছিল। আপনি কি এই চলচ্চিত্রের নাম অনুমান করতে পারছেন? যদি তা না হয় তবে আসুন সেটা খোলসা করা যাক। এই ছবির নাম ‘ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি’। ছবিতে শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী জুহি চাওলাকে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন আজিজ মির্জা। প্রীতি জিন্টার সঙ্গে এক পুরনো কথোপকথনে শাহরুখ খান বলেছিলেন যে তিনি এখনও ফিরভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানিকে তাঁর সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হিসাবে বিবেচনা করেন।
শাহরুখ বলেন, 'আমি আমার জীবনে কখনও টেবিলে বসে আমার কোনও ছবিতে না (বক্স অফিসে) না চলার জন্য কাঁদিনি। কিন্তু ফিরভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানির আমরা তিনজনই কেঁদেছিলাম। যা ঘটেছিল তা নিয়ে আমরা খুব কান্নাকাটি করেছিলাম। সিনেমাটা এক্কেবারেই চলেনি। ১৩ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত এই ছবিটি ভারতে মাত্র ১৮.২০ কোটি টাকা আয় করেছিল। চলচ্চিত্রটির আইএমডিবি রেটিং ৬.২। নেটফ্লিক্সে এই মুভিটি আপনি দেখতে পারেন, সিনেমা হলে সেভাবে ছবিটি না চললেও টেলিভিশনের পর্দায় দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছিল ফিরভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি।
যদিও প্রীতিকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারের অনেক পরে কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন শাহরুখ। ২০১৮ সালে জিরোর ব্যর্থতা নায়ককে এতটাই কোণঠাসা করেছিল যে সিনেমার পর্দা থেকে প্রায় ৫ বছরের বিরতি নেন শাহরুখ। যদিও তাঁর কামব্যাক ছিল এলাহি। ২০২৩ সালে ট্রিপল ধামাকা নিয়ে হাজির হন শাহরুখ। পাঠান ও জওয়ান বক্স অফিসে ১০০০ কোটির গণ্ডি পার করতে সফল হয়েছিল।