
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
টলিউডের নতুন বউ তিনি। সাত মাসের সংসার সন্দীপ্তার। টেলিভিশনের দুর্গা এখন বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয় মুখ। ১৬ বছরের অভিনয় কেরিয়ারের আক্ষেপ, সৌম্যর সঙ্গে দাম্পত্য থেকে নতুন ওয়েব সিরিজ নষ্টনীড় ২ নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে আড্ডা জমালেন সন্দীপ্তা।
সন্দীপ্তা: সত্যি, সবটাই নতুন। প্রিয় মানুষের সঙ্গে জীবন কাটানো শুরু হয়ছে, কার না ভালো লাগে। বাবা-মা'ও খুব খুশি।
সন্দীপ্তা: বিশ্বাস করো, গত বছর নষ্টনীড় শেষ হওয়ার পর থেকে আমার সঙ্গে যার দেখা হয়েছে সেই জানতে চেয়েছে সিজন ২ কবে আসছ। অবশেষে এখন দর্শক দরবারে, তাঁরাই জানাবেন কেমন লাগল নষ্টনীড় ২। ঋষভের সঙ্গে যা ঘটছে সেটা কী অপর্ণাই শোধ তোলবার জন্য করছে? ঋষভকে কি আদেও অপর্ণা ক্ষমা করবে, সেই সব জানতে হলে দেখতে হবে নষ্টনীড় ২। নষ্টনীড় দেখে মানুষ সেই গল্পটার সঙ্গে একাত্ম হতে পেরেছিল, সেই কারণেই তা দর্শক পছন্দ করেছে। পজেটিভ রিউভস পেয়ে ভালো লাগছে।
সন্দীপ্তা: এখন তো টলিউডে কাজই কম হচ্ছে। আগে যত সিনেমা হত, তেমন বড় ছবির সংখ্যা কমেছে। ওয়েব সিরিজ বা মেগা সিরিয়ালের তুলনায় নারীকেন্দ্রিক কাজ বড় পর্দায় তুলনায় অনেক কম হয়। সংখ্যাটা বাড়লে তো আমরা নিঃসন্দেহে উপকৃত হব।
সন্দীপ্তা: অনেক কিছুই তো না পাওয়া থাকে, আমি সবসময় জোর দিই আমার কাছে কোনটা আছে। তাই সেই অর্থে কিছু আক্ষেপ নেই, তবে আরও অনেক কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। সব শিল্পীরই খিদে রয়েছে, আমারও আছে।
সন্দীপ্তা: বড় পর্দায় কাজের অফার পেয়েছি, তবে এমন অফার আসেনি যে এক কথায় হ্যাঁ বলে দেব। হালে আপিস করলাম, বা একেন বাবু রুদ্ধশ্বাস রাজস্থান করলাম। একথা ঠিক, আমি যে পরিমাণ মেগা করেছি বা ওটিটি প্রোজেক্ট করেছি তেমন সুযোগ বড় পর্দায় আসেনি। তবে অপেক্ষা করতে আমি ভালোবাসি। মেগা সিরিয়াল করতে করতে যখন ভাবলাম এবার থেমে অন্য কিছু চেষ্টা করব। যাতে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি, সেই সময় ওয়েব সিরিজের রমরমা শুরু হয়। প্রতিদানের পরপরই আমার আস্তে লেডিজ দিয়ে ওটিটি জার্নি শুরু।
সন্দীপ্তা: ১০-এর মধ্যে মেরে কেটে ৩-৪! তবে আমি কিন্তু কাজ চাই, বড় বড় পরিচালকদের সঙ্গে যখন দেখা হয়, তাঁরা বলেন আমার কাজ ভালো লাগে। আমার সঙ্গে কাজ করতে চান। আমি যখন পালটা বলি, তাহলে কাজ হচ্ছে না কেন? তাঁরা বলেন, ‘একটু অপেক্ষা কর, সেরকম চরিত্র এলে নিশ্চয়ই তোকে ফোন করব।’
সন্দীপ্তা: (হাসি) হ্যাঁ, বিশ্বাস করুন এই তিনজনেই আমাকে বলেছে নিশ্চয় একসঙ্গে কাজ হবে। আমিও আশাবাদী নিশ্চয় কাজ হবে কোনও একদিন।
সন্দীপ্তা: যারা বলছেন একটু চোখটা খুলে ভাবুন। যারা এসব বলে তাদের চোখে একটা পর্দা পরে আছে। সেই পর্দাটা তারা সরাতে চান না। সন্দীপ্তা সেন ২০০৮ সাল থেকে কাজ করছে, দর্শক জানে সন্দীপ্তা কী কাজ করে এসেছে। ওয়েব সিরিজও আমি অনেক আগে শুরু করেছি। সৌম্যর কাজটা বিজনেস, এটা আমি আগেও বলেছি। যারা মানতে না-রাজ তারা এটা ভেবে খুশি থাকুন, তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। সত্যি কেউ জানতে চাইলে বলব, সৌম্য ব্যবসাটাই দেখে, ওর কাস্টিং-এ কোনও হাত নেই।
সন্দীপ্তা: সৌভাগ্যবশত আমাকে কখনও কোনও খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। সেই সময় তো হ্যাশট্যাগ মিটু ছিল না। কিন্তু যদি আমার সঙ্গে খারাপ কিছু হত, তাহলে নিশ্চয় সন্দীপ্তা সেন প্রতিবাদ করতে হত। চুপ করে থাকার মেয়ে নয় সন্দীপ্তা সেন।
সন্দীপ্তা: আমি আসলে পাত্তা দিই না। এটা আমার ছোট থেকে। আজকাল তো সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকে ট্রোল করে। ছোট থেকেই বাবা-মা এইভাবেই আমাকে বড় করেছে। আমি তো ছেলেদের সঙ্গে খেলে বড় হওয়া মেয়ে, পাড়ার লোকে অনেক খারাপ কথা বলত। বাবা-মা বলত, নিজের যেটা ঠিক মনে হবে করবি। সমাজের সবাই তোকে পছন্দ করবে সেটা হতে পারবে। তোমার ফ্যামিলি ভ্যালু অনেক উঁচু, সেটার কথা মাথায় রাখবি। তাই আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কী বলল, সেটা আমাকে কোনওভাবেই প্রভাবিত করে না।
সন্দীপ্তা: হ্যাঁ, ভালো বন্ধু হয় তবে প্রচুর বন্ধু হয় এমনটা নয়। আমার কিন্তু স্কুল-কলেজেও প্রচুর বন্ধু ছিল না। ওই হাতে গুণে চার-পাঁচ জন। তাহলে বুঝতেই পারছো, স্কুল কলেজে যদি এত কম সংখ্যক বন্ধু হয় তাহলে ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ক'জন বন্ধু হবে।
সন্দীপ্তা: আরে না না! সৌম্য তো আমার বর (হাসি)। তবে ওর সঙ্গে অন্যরকম বন্ধুত্বটা সারাজীবন থাকবে। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কাছের বন্ধু বলতে তনুকাদি, বয়সে অনেক বড় তবে খুব কাছের মানুষ। অদিতিদি (নষ্টনীড় পরিচালক) অবশ্যই। অনেকগুলো কাজ করলাম। আর মিমিও খুব কাজের।
সন্দীপ্তা: এই রে! আমি তো বুঝতেই পারিনি এখনও কোনও পরিবর্তন। কারণ সৌম্য আর আমি কাজ নিয়ে ব্যস্ত, প্রচুর কিছু বদলায়নি। সৌম্যর বাবা-মা মারা গেছেন, আমরা তো একাই থাকি দুজনে, তাই খুব বেশি বদল হয়নি কিছু।
সন্দীপ্তা: দুজনেই দুজনের কথা শুনি। আমি একটু বেশি বলি, এটা খাবি না কিংবা ওটা পরবি না। সৌম্য় আমাকে একা কোনও কাজ করতে দেয় না। যখন রান্না করার হয়, ও একটা পদ করল আমি আরেকটা করলাম। কিংবা অনেক সময় তো আমাকে রান্নাঘরে ঢুকতেও দেয় না।
সন্দীপ্তা: (লাজুক হাসি) আসলে আমি ওকে তুই বলি। আমাকে ও তুমি বলে।
যদি সে তোমাকে সম্মান না করে, তাহলে সম্পর্ক থেকে সরে আসুন। আমরা তো সবসময় বলি আসি, সে আমাকে ভালোবাসে, সে আমার কেয়ার করে। কিন্তু সম্মান করাটা খুব জরুরি। যদি সম্পর্ক থেকে সেটা চলে যায়, তাহলে সেটাই সবচেয়ে বড় রেড ফ্ল্যাগ।
আসলে ভালো লাগার তালিকাটা আন-এন্ডিং। মানুষটা খুব সৎ। একটু বেশিই সৎ। আর খারাপ লাগা… বেশিকিছু না রেগুলার একটু এক্সারসাইজ করুক। তাহলেই হবে। (হাসি)
বিয়ের পর দুজনেই খুব ব্যস্ত। আমাদের ঠিকভাবে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। সামনেই আমার জন্মদিন, নেক্সট ট্রিপটা সৌম্য প্ল্যান করছে, সেটা পাহাড় না সমুদ্র না জঙ্গল আমি কিছুই জানি না।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports