পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেলতলায় মায়ের বোধন হয়েছে। অনেকে প্যান্ডেল হপিংও করতে বেরিয়ে পড়েছেন। পুজোর সাজে সেজে উঠেছে শহর থেকে গ্রামবাংলার প্রান্তর। আর তারকারাও এর ব্যতিক্রম নন। তাঁরাও পুজোর সাজে সেজে ওঠেন, গায়ে মেখে নেন পুজোর আনন্দ। তবে ভিড়ের মাঝে তাঁদের খুব একটা দেখা মেলে না। কিন্তু এই কথা মানতে রাজি নন কৌশানি মুখোপাধ্যায়। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে তিনি জানান, তাঁর মতে ছোটবেলার মতোই এখনও তাঁর পুজো কাটে।পুজো মানেই সবার মাথায় আসে পুজোর সাজ। এই পুজোয় নায়িকা কেমন করে সাজবেন? প্রশ্নে কৌশানি বলেন, 'পুজোয় আমি শাড়ি ছাড়া কিছু ভাবতেই পারি না। পুজো মানে আমার কাছে সাবেকিআনা, বাঙালিআনার ছোঁয়া থাকবে। আর আমি পুজোয় সেরকম পোশাক পরতেই পছন্দ করি।' তবে এই পুজোয় নায়িকার নতুন ছবি 'রক্তবীজ ২' মুক্তি পেয়েছে। তাই ছবির প্রচার থেকে প্রিমিয়ার সবটা নিয়ে ব্যস্ত তিনি। তাছাড়াও এবার মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠানে তাঁকে দেবী রূপেও দেখা গিয়েছিল। তাই শ্যুটিংয়ের চাপ। পাশাপাশি বিভিন্ন পুজো মন্ডপের উদ্বোধন সবটা নিয়ে দারুণ ব্যস্ততায় দিন কাটছে কৌশানির। তাই ইচ্ছে থাকলেও দোকানে গিয়ে জামা-কাপড় কেনার সুযোগ খুব একটা হয়ে ওঠেনি। তবে পুজোয় তো নতুন পোশাক পরতেই হবে। তাই সারা বছর ধরে অনলাইনেই টুকটাক করে শপিং সারতে থেকেছেন।পুজো মানে পুজোর সাজের পাশাপাশি পুজোর ভোজের বিষয় থাকে। তবে নায়িকাদের নানা নিয়মের মধ্যে থাকতে হয়। কৌশানি কি পুজোর ক'দিন সব খাবার চেখে দেখেন? প্রশ্নে নায়িকা জানান শুধু চেখে দেখা নয়, তিনি রীতিমতো কব্জি ডুবিয়ে খান। তাঁর কথায়, 'আমি পুজোর আগে ডায়েট করে নিয়েছি। পুজোর সময় আমি ডায়েট করি না। আমি একজন প্রকৃত বাঙালি। তাই কোনও বছরই পুজোয় ডায়েট করি না। পুজো মানে জমজমাট খাওয়া-দাওয়া, ঘোরা। ওই পাঁচটা দিন নিয়মে বাঁধা পড়তে চাই না।'তবে এই সব কিছুর পর একটা বিষয় নিয়ে সেলেবদের মধ্যে বেশ একটা আক্ষেপ থাকে। তা হল পুজোয় তাঁরা ভিড়ে মিশে প্যান্ডেল হপিং করতে পারেন না। কৌশানির ক্ষেত্রেও কি বিষয়টা তাই? প্রশ্নে নায়িকার জানান, তিনি আগের মতো করেই পুজো উপভোগ করেন। তাঁর কথায়, 'আমি মিস করি না। কারণ আমি প্যান্ডেল হপিং করতে ভালোবাসি, আর আমি তা করিও। তাই যে কটা পুজো পারি আমি দেখেও নি।'প্যান্ডেল হপিং করা গেলেও ছোটবেলার পুজোর দিনগুলো বোধ হয় সব সময়ই সেরা হয়। ছেলেবেলার পুজোর স্মৃতি নায়িকার মনেও তাজা। তিনি বলেন, 'আমি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। তাই আমরা ভাইবোনেরা একসঙ্গে পুজোয় ঘুরতে বের হতাম। তারপর প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে যে বিউটি কনটেস্ট হত, সেগুলোতেও নাম দিতাম। তবে আগে আমি দড়ির ওপারে থাকতাম, ভিড়ের মধ্যে। এখন এপারে থাকি। পার্থক্য শুধু এইটুকুই। তা বাদ দিয়ে ছোটবেলার পুজোর থেকে এখনের পুজো খুব একটা আলাদা নয়। কারণ আমি এখনও পুজোটা সেই ভাবেই উদযাপন করি।'