এডিয়ে গিয়েও নিস্তার পেলেন না জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজ, বরং এইবার আরও বেশি করে কেন্দ্রীয় সংস্থার সাঁড়াশি চাপে বলি সুন্দরী। ২০০ কোটির আর্থিক প্রতরণার মামলায় গ্রেফতার সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা গত কয়েকদিনে কম হয়নি সংবাদ মাধ্যমে। এই মামলায় ফের একবার ইডির জেরার মুখে পড়বেন জ্যাকলিন। আগামী বুধবার দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে হবে অভিনেত্রীকে। সমন জারি হল নায়িকার নামে। গত কয়েক দিনে সুকেশ চন্দ্রেশেখরের সঙ্গে অভিনেত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, গতকাল (রবিবার) মুম্বই বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে আটক করা হয় জ্যাকলিনকে। এয়ারপোর্ট আধিকারিকরা সাফ জানান, লুক আউট নোটিশ জারি হয়েছে অভিনেত্রীর নামে, তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না। এরপরই ই়়ডির আধিকারিকরা সাময়িক কথাবার্তা বলে ছেড়ে দেয় নায়িকাকে। দুবাইয়ের বদলে মুম্বইয়ের বাড়িতে ফেরেন জ্যাকলিন। আগামী পরশু দিন দিল্লিতে ইডি আধিকারিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে জ্যাকলিনকে। এই মামলায় গত ৩০ অগস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা করা হয়েছিল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’-এর আওতায় ইডি আধিকারিকদের সামনে বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন জ্যাকলিন। এরপর গত ২৫শে সেপ্টেম্বর এবং ১৫, ১৬ অক্টোবর ইডির সমন এড়িয়ে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। তারপরই ধীরে ধীরে জ্যাকলিন ও সুকেশের প্রেম সম্পর্কের চর্চা আরও বেশি করে মাথাচাড়া দেয়। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট ফাইল করেছে ইডি সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে জ্যাকলিনের জন্য ১০ কোটি টাকা খরচ করেছেন সুকেশ। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে পরিচয় দুজনের। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই বলি নায়িকার দেখভালে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উড়িয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতরণার দায়ে অভিযুক্ত কনম্যান।এমনকি তিহার জেলে বসেও জ্যাকলিনের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা বলত সুকেশ, পাঠাতো উপহারও। জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশের যে অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়েছে, সেগুলি চলতি বছর এপ্রিল মাস থেকে জুন মাসের মধ্যেকার। সেইসময় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে জেলের বাইরে ছিল সুকেশ।